রাজ্যে কিছু জায়গায় এখনও বামেদের শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালু আছে। তৃণমূল কংগ্রেসের চালু করা ক্যান্টিন অধিকাংশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এবার খোদ দলনেত্রীর নামে স্বল্পমূল্যে আহারের কর্মসূচি নিয়েছেন হাওড়ার এক প্রাক্তন কাউন্সিলর। ওই প্রকল্পে নাকি মাত্র কুড়ি টাকায় দুপুরে পেটপুরে মাংস ভাতও মিলবে। হাওড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন পুরপিতা বাপি মান্না বলেন, "বিশ্বকর্মা পুজো এবং মহালয়ার দুপুরে এই অভিনব প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে 'মমতার মমতা'।"
তামিলনাড়ুতে একসময় সাড়া ফেলেছিল আম্মার ক্যান্টিন। এআইএডিএমকে নেত্রী জয়ললিতা দক্ষিণে আম্মা নামেই অধীক পরিচিত। যদিও সেটা ছিল সরকারি প্রকল্প। তারপর অন্ধ্রপ্রদেশ আন্না ক্যান্টিন শুরু করে। এভাবে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে স্পল্প মূল্যে আহারের প্রকল্প চালু হয়েছিল। এরাজ্যেও বিভিন্ন জেলাতে এই ধরনের প্রকল্প চালু হলেও অধিকাংশ গতি হারিয়েছে। এবার সরকারি না হলেও দলীয় প্রকল্পের নাম 'মমতার মমতা'।
২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচন। তাই কি এই উদ্যোগ? তৃণমূল নেতা বাপি মান্না বলেন, "সবে তো শুরু করেছি। বিরোধিরা নানা কথা বলবেন। কিন্তু তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কেউ যদি নেগেটিভ ভাবে দেখে কিছু করার নেই।" তিনি জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে প্রতিদিন মধ্যাহ্নে এলাকার প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জন মানুষের জন্য ভোজনের ব্যবস্থা করা হবে। যেখানে মাত্র কুড়ি টাকাতেই পাতে পড়বে সপ্তাহে একদিন মাংস ভাত। এছাড়াও রয়েছে ডিম-সবজি ভাত, ১৫ টাকায় নিরামিষ ভাত সহ হরেক রকমের মেনু। নামমাত্র টাকায় খাবার পার্সেলের ব্যবস্থাও থাকছে।
করোনা আবহে সাধারণের একাংশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই সংকটের মধ্যে। মুখ ফুটে কিছু বলতে না পারা লোকের সংখ্যাও নেহাত কম না। কেন এই উদ্যোগ? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "লকডাউনের প্রথম দিকে চিকিৎসক, নার্সদের থাকা ও খাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলাম। তখন থেকেই একটা উৎসাহ পেয়েছিলাম। সবাই মিলে সাহায্য করলে কিছু ব্যবস্থা করা যায়। তারপর এই উদ্যোগ। অনেক সাধারণ মানুষ অভাব থাকলেও বলতে পারে না।"
মাংস ভাত 'মমতার মমতা' ক্যান্টিনে সপ্তাহে তিন দিন নিরামিষ এবং চার দিন আমিষ থাকবে। ভাত, ডাল, সবজি, মাছ ছাড়াও সপ্তাহে একদিন মাংস ভাত থাকছে। ২০ টাকায় আমিষ আর ১৫ টাকায় নিরামিষ খাবার মিলবে। প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ জনের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে এলে কেউ অভুক্ত থেকে ফিরে যাবে না, কথা দিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন