Bengal Weather Update: দক্ষিণবঙ্গের উপর থেকে দুর্যোগ কাটলেও বন্যা আশঙ্কায় রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল। উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ যেহেতু বিহারমুখী। তাই রাজ্যের পশ্চিম অংশের চার জেলায় ভারী-অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বর্ধমানে হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। উত্তরবঙ্গের দুই জেলা কোচবিহার-আলিপুরদুয়ারে ভারী-মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামি দুই দিনে ৭-২০ মিমি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এদিকে, দিল্লি থেকে ফেরার আগে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, 'আমাদের রাজ্যে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে কি না বোঝা যাচ্ছে না। আমাকে বাংলায় ফিরে গিয়ে সেদিকে নজর দিতে হবে।'
Advertisment
পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহরের বেশকিছু এলাকা। সেই জলমগ্ন শহরকে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কলকাতা লন্ডন হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কলকাতার মানুষ দেখুন, কাদেরকে ভোট দিয়ে জেতালেন। ইয়াসের পর লোক বলছিল দুয়ারে গঙ্গা, এখন সকলে বলছে দুয়ারে নর্দমার জল।
এপ্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বেহালায় কাজ চলছে। আরও এক বছর লাগবে, বেহালায় জল সমস্যা থাকবে না। খিদিরপুর লো লাইন এলাকা, এখানে আজ নয় গত ১০০ বছর ধরে জল জমে।‘ এদিন বেলার দিকে পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তারক সিং বলেছেন, ‘লকগেটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত জল নামবে।‘
অপরদিকে, বৃহস্পতিবারের বৃষ্টিতে রাজ্যে ৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বনগাঁয় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে দুই জন, কালিম্পঙে ধস নেমে একজন, দাসনগরে তরিদাহত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। পাশাপাশি হাঁটু জলে মাছ ধরতে দেখা গিয়েছে কেষ্টপুর, বাগুইআটি এলাকায়। জলের তলায় উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার একাধিক এলাকা। জেলার একাধিক হাসপাতালেও জল ঢুকে বিঘ্নিত হয়েছে পরিষেবা। যদিও দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার খুর মিলেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন