রবীন্দ্র জয়ন্তী নিয়েও রাজনৈতিক সংঘাত এড়ানো গেল না। নাম না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবি ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে শাহের বঙ্গ সফরে রাজনীতির ছায়া দেখছে তৃণমূল। ঘুরিয়ে সম্ভবত সেই কারণেই মোদীর প্রধান সেনাপতির নাম না নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Advertisment
এর আগে পয়লা বৈশাখেও বাংলাতেই ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর সপ্তাহ কয়েক যেতে না যেতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে ফের একবার বাংলায় শাহি-সফর। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। শাহি সফরকে তাই আপাতমস্তক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছে জোড়াফুল শিবির।
মঙ্গলবার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। বিশ্বকবির জন্মভিটের প্রতিটি ঘর ঘুরে দেখেছেন তিনি। কবিপ্রণামে এদিন অমিত শাহের সফর ঘিরে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন ছিল জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। বিশ্বকবির মূর্তিতে মাল্যদান-সহ সেই সব কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তবে শাহের এই বঙ্গ সফর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছে তৃণমূল। এদিন নাম না করে অমিত শাহকে বিঁধতে গিয়ে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুরের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতায় অমিত শাহ নির্বাচনী প্রচার সারার সময়েই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।
মঙ্গলবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানেই নাম না করে এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিঁধে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ভোটের সময় রবীন্দ্রনাথ ব্যবহার করছে। কিছু না জেনে লিখে এনে বা টেলিপ্রম্পটার দেখে মুখে অনেক বড় বড় কথা বলা যায়। এটাও বলে দেওয়া যায় যে শান্তিনিকেতন কবিগুরুর জন্মস্থান। বিদ্যাসাগরের মূর্তিও ভেঙে ফেলা যায়। তবে যাঁদের হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, তাঁরা সব সময়ে তাঁকে অনুভব করতে পারেন।"