পুজো মিটতেই এবার শান্তিনিকেতনে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি বুকে নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর। সময় বেঁধে দিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওখানেই আন্দোলনের নামার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতির পর প্রকাণ্ড একটি ফলক বসানো হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই ফলকে নাম নিয়েই এবার ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি মানা না হলে শুক্রবার সকাল থেকেই ঝাঁঝালো আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
হঠাৎ কেন আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর?
উল্লেখ্য, ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতির পরেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশাল একটি ফলক বসানো হয়েছে। সেই ফলকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। কিন্তু যে বিশ্বকবির হাত ধরে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ফলকের কোথাও নেই। এই বিষয়টিতেই বেজায় চটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ‘বালু যদি মারা যায়…’, ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি মমতার
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম লেখা না হলে এবার আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে সময় বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ফেরানো না হলে কবিগুরুর ছবি বুকে নিয়ে আন্দোলনে নামার ডাক মুখ্যমন্ত্রীর।
এপ্রসঙ্গে কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর হেরিটেজ হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্যই। তিনিই শান্তিনিকেন, বিশ্বভারতীর স্রস্টা। ওঁর নামই সরিয়ে দিয়েছে। শুধু পুজো ছিলে বলে চুপ ছিলাম। আগামিকাল সকালের মধ্যে যদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ফলকে ফেরানো না হয় তবে কাল সকাল ১০টা থেকে ওখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি বুকে নিয়ে আন্দোলনে নামব।"
আরও পড়ুন- দুর্গাপুজোর কার্নিভাল: তাকলাগানো আয়োজন রেড রোডে! কতগুলি পুজোকে আমন্ত্রণ? পাস মিলছে কীভাবে?
শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন, তাঁর দলের নেতা থেকে শুরু করে রাজ্য মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে একের পর পোস্টে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা।