বহু বছরের প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল কয়েক মাসে আগে। এরপরই অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় প্রেমিক অভিজিৎ দাস। সেই মত অভিজিতের বিয়েও হয় অন্য এক মহিলার সঙ্গে। এরপরই ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়। প্রেমিকা অভিজিতের বিরুদ্ধে সহবাস ও প্রতারণার অভিযোগ করেন পুলিশে। ফলে ফুলশয্যার রাতেই প্রতারণার দায়ে অভিজিৎকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার দেবীপুর এলাকার।
অভিযোগ, প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে দীর্ঘদিনের (প্রায় ৮ বছর) প্রেমের সম্পর্ক অভিজিৎ দাসের। নিয়মিত ঘোরাঘুরি, মেলামেশা ছিল তাঁদের। কিন্তু, মাস তিনেক আগে প্রেমের ছন্দ পতন হয়। অভিজিতের প্রেমিকার দাবি, বেশ কয়েক মাস আগে বাবার সঙ্গে দিঘায় যাচ্ছে বলে জানিয়েছিল প্রেমিক অভিজিৎ। তারপরই সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলেছিল। এরপরই খোঁজখবর করে তাঁরা জানতে পারে যে, শিলিগুড়িতে গিয়ে অভিজিৎ রেজিস্ট্রি বিয়ে করেছে। ২০ এপ্রিল দেবীপুরে স্ত্রীকে এনে সামাজিক মতে বিয়ে করেছে।
সব জেনে গাইঘাটা থানায় অভিজিৎ দাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত শুক্রবার রাতে গোবরডাঙ্গার একটি অনুষ্ঠান বাড়িথেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফুলশ্যার রাতেই বসেছিল ভোজের আসর। সেখান থেকেই অভিজিৎকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার সকালে ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
অভিযোগকারিনীর কথায়, 'অভিজিৎ আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহুবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে৷ দু'বার গর্ভপাত করাতে হয় আমাকে। আমি ওকে আর বিয়ে করতে চাই না। আমি চাই আইনের মাধ্যমে ওর উচিত শিক্ষা হোক।'
অভিযোগ অস্বীকার করে ধৃত অভিজিৎ দাসের বাবা অচিন্ত্য দাস বলেছেন, ' ওই মেয়েটিকে আমরা জিজ্ঞাসা করেছিলাম ছেলেকে বিয়ে করতে চায় কিনা। বিয়ে করবো না জানিয়ে সে কয়েক লক্ষ টাকা দাবি করেছিল। মিথ্যা সহবাসের অভিযোগ করে এখন আমার ছেলেকে ফাঁসাচ্ছে।'