দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য বুধবার ম্যান মেড বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনালাপে ডিভিসির বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবে জল ছাড়ার অভিযোগ তুলেছেন মমতা। এবার সমস্ত বিষয় উল্লেখ করে সুরাহা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, ডিভিসি-র জল ছাড়ার কারণেই ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯ সালের পর ফের রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি হল।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, নিম্নচাপের কারণে গত কয়েকদিন ধরে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। তখন মাইথন, পাঞ্চেত ও তেনুঘাট জলাধার থেকে প্রায় ২ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। যার ফলে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। প্রায় তিন লক্ষের বেশি মানুষ ঘরছাড়া। তাঁদের ঠিকানা এখন আশ্রয় শিবির।
এর আগে ২০১৫ সালের বন্যার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে ডিভিসির সংস্কার, পলি পরিষ্কার এবং ডিভিসির জলধারণ ক্ষমতা ১.২ লক্ষ একর ফুট বাড়ানোর আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাঞ্চেত জলাধারের ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে ১০ কোটি কিউবিক মিটার এবং মাইথন বাঁধে গোলাকৃতি জলাধার বানিয়ে ধারণ ক্ষমতা ১২ কোটি কিউবিক মিটার পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন মমতা। সেই বিষয়গুলি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মোদী-মমতা কথা! ‘ম্যান মেড বন্যা’, ফোনেই সরব মুখ্যমন্ত্রী
চিঠিতে ডিভিসির জলাধারে দীর্ঘদিন ধরে পলি পড়া এবং রক্ষণাবেক্ষণের গাফিলতির অভিযোগ করেছেন মমতা। সেই কারণেই বারবার রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। ভবিষ্যতে বনা পরিস্থিতি আটকাতে দীর্ঘমেয়াদী সুরাহার আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে টুইটারে পিএমও-র তরফে জানানো হয়েছে, “বাঁধ থেকে ছাড়া জলে বাংলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বন্যা কবলিত এলাকায় সকলে যাতে সুস্থ ও নিরাপদ থাকেন, তার জন্য প্রার্থনা করছেন প্রধানমন্ত্রী।”
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন