বর্ষীয়ান মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে একটি দফতরের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুটি দফতরের দায়িত্ব ছিলেন মানস ভুঁইয়া। পরিবেশ এবং জল সম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন সবংয়ের বিধায়ক। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানস ভুঁইয়ার থেকে পরিবেশ দফতরটি সরিয়ে নিয়েছেন। আপাতত নিজের হাতেই পরিবেশ দফতর রেখেছেন মমতা।
তাহলে কী মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী? নাকি মন্ত্রিসভা কলেবরে বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? মানস ভুঁয়ার থেকে একটি দফতর কেড়ে নেওয়ায় সেই প্রস্নই উঠতে শুরু করেছে।
ফিরহাদ হাকিম থেকে শশী পাঁজা, ইন্দ্রনীল সেন, অরূপ বিশ্বাস সহ মমতা মন্ত্রিসভায় বহু মন্ত্রীর দায়িত্বেই রয়েছে একাধিক দফতর। তাহলে হঠাৎ কেন মানস ভুঁইয়ার উপরই কোপ পড়ল? নবান্নের তরফে কোনও কারণ স্পষ্ট করা হয়নি।
বর্ষীয়ান মন্ত্রী মানসবাবুর কাজে যে মুখ্যমন্ত্রী সন্তুষ্ট নয় তা কয়েক সপ্তাহ আগে মমতার পশ্চিম মেদিনীরপুর সফরেই সাফ হয়ে যায়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সাংগঠনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যেই মানস ভুঁইয়ার ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছিলেন, 'মানস দা খালি সবং নিয়ে পড়ে থাকলে হবে? মূর্তি বসবে সবংয়ে, স্টেডিয়াম হবে সবংয়ে, মাদুর কাঠির ক্লাস্টার হবে সবংয়ে। জেলায় বাকি জায়গাও তো রয়েছে। পিংলা, ঘাটাল এলাকার উপরেও তো নজর দিতে হবে।' তবে এই অসন্তোষের জেরেই মানস ভুঁইয়ার মন্ত্রীত্বে কোপ পড়ল কিনা তা পরিস্কার নয়।
বৃহস্পতিবার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে থাকা দফতরের সংখ্যা বাড়ল। স্বরাষ্ট্র, কর্মিবর্গ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, তথ্য ও সংস্কৃতি, যোজনা, সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতরের সঙ্গে এবার জুড়ল পরিবেশ দফতরও।