এক মাসের মাথায় বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক বদল। সংগঠনের দেখভালে এবার বাংলার দায়িত্বে বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে। শুক্রবারই তাঁরে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক পদে নিয়োগ করেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এছাড়া, দুই সহ-পর্যবেক্ষক পদের দায়িত্বে অমিত মালব্য ও আশা লাখরা।
১৯৭২ সালের ৯ অগাস্ট জন্ম মঙ্গল পাণ্ডের। বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে নীতীশ মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব সামলেছেন। সুদক্ষ সংগঠক ও দক্ষ রাজনীতিবিদ হিসাবেই পরিচিত মঙ্গল পাণ্ডে। বিহারে বিজেপির সভাপতি হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। এবার এই মঙ্গলের উপরই প্রতিবেশী রাজ্যের দলীয় সংগঠনের দেখভালের ভার অর্পণ করলেন দিনদয়াল উপাধ্যা মার্গের নেতৃত্ব।
একুশে ভোটে বিজেপির বিপর্যয়ের পর থেকেই বাংলা ছাড়া কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রাজ্য বিজেপির হাল ফেরাতে স্থায়ী পর্যবেক্ষক চেয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে একাধিকবার দরবার করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নানা টানাপোড়েনের পর চলতি বছরের ১০ অগাস্ট দলের বঙ্গ শাখার নয়া পর্যবেক্ষক হিসাবে সুনীল বনশলের নাম ঘোষণা করে গেরুয়া দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বনশল উত্তরপ্রদেশে সুনীল বনশল বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোট, ১৯-য়ের লোকসভায় হিন্দি বলয়ের এই রাজ্যে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে বিজেপি। যার নেপথ্যে বনশলের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ছিল বলে মনে করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ফলে তাঁর কাধে সংগঠনে সমস্যা জর্জরিত পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার বিষয়টি ছিল রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যবাহী।
কিন্তু, মাত্র এক মাসের ভেতর কেন দলের বাংলা শাখার পর্যবেক্ষক পদ থেকে সরানো হল সুনীল বনশলকে? তা নিয়ে মুরলীধর সেন লেনের নেতাদের মধ্যেই বিস্তর প্রশ্ন রয়েছে। এমনকী ধন্দ্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই।
তবে দলীয় সূত্রে খবর, বাংলার পাশাপাশি বনশলের দায়িত্বে তেলেঙ্গানা এবং ওড়িশার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলির সংগঠনের ভার রয়েছে। সামনেই তেলেঙ্গানায় ভোট। এই রাজ্য টিআরসের থেকে ছিনিয়ে নিতে মরিয়া পদ্ম বাহিনী। অন্যদিকে বিরোধী আসনে থাকা ওড়িশাতেও সংগঠনকে মজবুত করতে চায় বিজেপি। ফলে ওই দুই রাজ্যকেই সম্ভবত পাখির চোখ করেসুনীশ বনশলের হাতে ছাড়তে আগ্রহী নাড্ডা ব্রিগেড। তাই আপাতত বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক পদে বসানো হল বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রীকে।