Mango Yield Hit In Summer: তীব্র দাবদাহের জেরে মালদার বিভিন্ন আমবাগানগুলিতে শুকিয়ে গিয়েছে গাছের পাতা, ঝরে পড়ছে একেবারে ছোট অবস্থায় থাকা আমগুলিও। প্রচণ্ড গরমে অনেক আম গাছে বিভিন্ন ধরণের রোগপ্রকার আক্রমণও দেখা দিয়েছে। আর এনিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অধিকাংশ আম চাষীরা।
মালদা জেলায় তাপপ্রবাহের জেরে এখন আম চাষীদের নাজেহাল অবস্থা। এ বছর আম উৎপাদনের মাত্রা অনেকটাই কমে যেতে পারে বলেও মনে করছেন চাষিরা। এমনকী গোপালভোগ, আম্রপলি, হিমসাগর, মিশ্রিকান্ত, বৃন্দাবন জাতের আমগুলির উৎপাদনও অনেকটাই কম হবে বলে অনুমান করছেন চাষীরা। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে গাছে পরিষ্কার জল দিয়ে স্প্রে করার উদ্যোগ নিয়েছেন অনেক চাষী। তবে এই মুহূর্তে বৃষ্টির অত্যন্ত প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছে জেলা উদ্যানপালন দফতর।
জেলা উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর মালদায় প্রায় ৩৩ হাজার হেক্টর জমি জুড়ে আম চাষ হচ্ছে। আমের মুকুল গাছে ধরার পর থেকেই ব্যাপক ভাবে আম উৎপাদনের আশা করেছিল চাষী থেকে সংশ্লিষ্ট দফতর। কিন্তু এপ্রিল মাসের শুরু থেকে যেভাবে জেলা জুড়ে তাপ প্রবাহ চলছে, তাতে এখন অনেকটাই সমস্যা দেখা দিতে পারে বলেও মনে করছে উদ্যানপালন দফতর। কারণ, তীব্র দাবদহের জন্য অনেক সময় আম গাছে বিভিন্ন ধরনের রোগ পোকার আক্রমণ দেখা যায়। এমনকী তাপ প্রবাহের কারণে আমে ফাটল এবং পাতা শুকিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর এলাকার আম চাষী দিলীপ ঘোষ, মনোজ ঘোষদের বক্তব্য, 'মালদায় এখন ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে। বৈশাখ মাস শুরু হলেও বৃষ্টি হয়নি। যার ফলে এই গরমে গাছে যে অবস্থায় আম রয়েছে , তার অনেকটাই ঝরে পড়ছে। দুপুর থেকে গরম বাতাসের কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগপোকার আক্রমণ গাছে দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পরিষ্কার জল দিয়ে স্প্রে করেও ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টি একমাত্র ভরসা, নইলে এইরকম তাপপ্রবাহ চলতে থাকলে আম চাষীদের সমস্যায় পড়তে হবে।'
ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতী এলাকার আম চাষী সাইফুদ্দিন শেখ, রিয়াজুদ্দিন শেখদের বক্তব্য, 'লোকসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এব্যাপারে কোনওরকম কিছু জানানো হচ্ছে না। ফলে এবারে আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যাপক লোকসান হতে পারে বলেই মনে করছি।'
মালদা ম্যাংগো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, 'আম চাষীদের অভিযোগ সম্পূর্ণ সঠিক। এত তাপপ্রবাহ চলতে গেলে অধিকাংশ বাগানগুলিতে পরিপুক্ত অবস্থা পর্যন্ত আমকে টিকিয়ে রাখা অসম্ভব। এই অবস্থায় চাষীরা কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। আমরা চাই আম চাষীদের সমস্যার মেটাতে উদ্যান পালন দফতর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।'