পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের পর মানিক ভট্টাচার্যকে আদালত চত্বরে দেখেই উত্তেজনা ছড়াল। জুতো হাতে উঠল 'চোর, চোর' স্লোগান। অসুররূপেও মানিক ভট্টাচার্যকে তুলে ধরা হয়। বিক্ষোভকারীরা বিজেপির কর্মী, সমর্থক। ঘটনার সময় আগাগোড়াই আদালত চত্বরে উপস্থিত রয়েছেন বিজেপি নেতা ও কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। এসবের মধ্যেই দৌড়ে আদালতের মধ্যে ঢুকে যান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি।
কেন আদালত চত্বরে এই স্লোগান? জবাবে উত্তেজিত সজল ঘোষ বলেন, 'জুতোটা মারতে পারা গেল না এটাই হতাশার। তবে, মানুষ ওনাদের জুতো মারবে। আর চোরকে চোর ছাড়া অন্য কিছুতো বলা যায় না। ওনার জন্য রাজ্যের যুবক, যুবতীদের পথে বলতে হচ্ছে। এদের ছেড়ে দেওয়া যায় না।'
হাজির ছিলেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালও। তাঁর কথায়, 'যার জন্য আজ বাংলার কয়েকশ ছেলে, মেয়ে পথে বসে আছে, সেই চোরকে সরকার সুরক্ষা দিতে আদালতে বাড়তি পুলিশ পাঠিয়েছে। আর বিজেপির হয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে হাজার হাজার মানুষকে মিখ্যা মামলায় জেলে ভরে রেখেছে পুলিশ। তাই এটা স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ।'
তবে, এই ধরণের বিক্ষোভ নতুন নয়। এর আগে এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে বা বাসপাতালে দেখেও ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন মানুষ। উঠেছিল 'চোর, চোর' স্লোগান। গত ২৫ জুলাই ভুবনেশ্বর এইমসে শীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থকে। রাজ্যের মন্ত্রীকে দেখেই বিক্ষোভ শুরু করেন সেই সময় এইমসে চিকিৎসারত বাঙালি রোগীদের আত্মীয়রা। ‘চোর, চোর, ধান্দাবাজ’ বলে স্লোগান ওঠে। পরে গত অগাস্টে জোকা ইএসআই-এ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিশানা করে জুতো ছোড়েন। তবে সেটি অপসারিত তৃণমূল মহাসচিবের গায়ে লাগেনি।
গত ২০ আগাস্ট আসানসোল আদালত থেকে বের করতেই ওঠে 'গরু চোর, গরু চোর' স্লোগান । তার আগে এর আগেও এসএসকেএমে চত্বরেও তাঁকে শুনতে হয়েছিল, 'গরু চোর' স্লোগান। মঙ্গলবারের বারবেলায় অন্যথা হল না মানিক ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রেও।
আরও পড়ুন- রহস্যময় RK কে? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে মানিকের WhatsApp চ্যাট