শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে বারে বারে অবস্থান বদল করছেন দিলীপ ঘোষ। দিন কয়েক আগে 'সেটিং' তত্ত্বের কথা বলে শোর ফেলেছিলেন। শুক্রবার অবশ্য ভোলবদল করেন বিজেপি সাংসদ। বলেছিলেন, 'সিবিআই-ই একমাত্র ভরসা'। সময় এগোতেই অবশ্য ফের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাজে সন্দিহান দিলীপ ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের কাজে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন তিনি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইয়ের কড়া নজরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। গত কয়েকদিনে তলব সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে হাজিরা দেননি তিনি। তাঁর হদিশও মিলছিলনা বলে অভিযোগ করে সিবিআই গোয়েন্দা। এর পরপরই রাজ্যের তরফে চাকদহের বিধায়কের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়। ফলে চর্চা আরও বাড়ে। প্রশ্ন ওঠে জনপ্রতিনিধি মানিক কোথায় গেলেন? মানিকের সন্ধান পেতে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়।
আরও পড়ুন- ‘তৃণমূলকে চোর-চোর বলবেন না, এলাকা ছাড়তে হবে’, CPM-BJP-কে বেনজির ‘হুমকি’ সৌগতর
রহস্যের এই আবহেই শুক্রবার ভিডিও-কলে ধরা দিয়েছিলেন মানিকবাবু। সাংবাদিকদের ভিডিও-কলে জানিয়েছিলেন তিনি যাদবপুরের ফ্ল্যাটেই রয়েছেন। জানিয়েছিলেন তদন্তে সহযোগিতা করছেন। তাঁকে নিয়ে সিবিআইয়ের 'নিখোঁজ' তত্ত্বও উড়িয়েছিলেন। শনিবার অবশ্য সশীরেরই ফ্ল্যাটের বারান্দায় ধরা দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন সভাপতি। এ দিনও তদন্তে সহযোগিতার দাবি করে জানিয়েছেন তিনি বাড়ি ছেড়ে যাননি।
ফ্ল্যাটেই রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। অথচ তাঁকে খুঁজে পাচ্ছেন না সিবিআই গোয়েন্দারা। কেন? সিবিআইয়ের এই ভূমিকাতেই ফের রহস্যের ইঙ্গিত পাচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, 'এর পিছনে কি রহস্য আছে জানা নেই। ইডি-সিবিআই হয়তো ওনাকে চেনেন না, তাই ধরতে পারছেন না। এর পিছনে সেটিং আছে নাকি অন্য গল্প এখনই বলা সম্ভব না।'