নিয়োগ দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে তাঁর নাম জড়িয়েছে। মাসের পর মাস ধরে জেলবন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। এবার ফাঁসির শাস্তির প্রসঙ্গও তুললেন মানিক। কিন্তু কেন? এদিন সকাল থেকেই মেজাজটা চড়া ছিল মানিকের। আদালতে শুনানিতে হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের দেখেও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খণ্ডনে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। এদিন আদালত থেকে বেরিয়ে জেলে যাওয়ার পথে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে বসেই চোট পেয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। আচমকা প্রিজন ভ্যানের ড্রাইভার ব্রেক কষাতেই বিপত্তি বলে সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়-অর্পিতা মুখোপাধ্যায়দের ভার্চুয়ালি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে হাজির করা হলেও মানিক ভট্টাচার্য সশরীরে কোর্টে আসেন। এদিন আদালতে বিচারকের সামনেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় মানিক ভট্টাচার্যকে।
আরও পড়ুন- শারীরিক সম্পর্কের ‘টোপ’ দিয়ে প্রেমিককে ফোন গৃহবধূর, যুবক যেতেই গ্রেফতার
লন্ডনে বাড়ি, দুটি পাসপোর্ট থাকার যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে তা সর্বৈব মিথ্যা বলেও দাবি করেছেন তিনি। পরে আদালত থেকে বেরিযে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমার লন্ডনে বাড়িও নেই দুটি পাসপোর্টও নেই। থাকলে ফাঁসির শাস্তি দেওয়া হোক আমাকে।'
আরও পড়ুন- সম্মানের বড্ড চিন্তা পার্থর! হাউ-হাউ করে কেঁদে ভাসালেন অর্পিতা
একথা বলেই এদিন পুলিশের প্রিজন ভ্যানে উঠে পড়েন তিনি। জানা গিয়েছে, প্রিজন ভ্যানে জেলে যাওয়ার পথে আচমকা ড্রাইভার ব্রেক কষেন। সামনে একটি গাড়ি এসে যাওয়াতেই বিপত্তি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। আচমকা ব্রেক কষার জেরে প্রিজন ভ্যানের ভিতরে থাকা মানিক ভট্টাচার্য অল্প-বিস্তর চোটও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তাঁর আঘাত গুরুতর নয় বলেই সূত্রের খবর।