ত্রিপুরার পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল, বাংলার মত ভয়ঙ্কর নয়। দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে প্রথমবার বাংলা সফরে এসে শাসকদল তৃণমুলকে ভয়ঙ্কর আক্রমণ করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা মানিক সাহা। তিনি বাংলার মাটিতে এসে তৃণমুলকে একহাত নিয়ে বলেন, পড়শি রাজ্যে সব দলের পতাকা উড়তে দেখা গেলেও বাংলায় শাসকদল ছাড়া আর কোন দলের পতাকা দেখা যায় না, এটা লজ্জার।
পাশাপাশি তিনি এদিন কংগ্রেস ও সিপিআইএমকেও নিশানা করে বলেন, ‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেওয়ার ফলেই কংগ্রেসের এই বিপর্যয়। তিনি আরও বলেন, ‘সিপিআইএম কংগ্রেসীদের ওপর অত্যাচার চালালেও বর্তমানে সেই সিপিআইএমের সঙ্গে জোট বাঁধছে কংগ্রেস এটা লজ্জার। তিনি এও দাবি করেন ২০২৩-এ ত্রিপুরায় অবাধ ও শান্তিপুর্ণ নির্বাচন হয়েছে। বিজেপি সেখানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়াতেও ‘সন্ত্রাস ইস্যুকে’ সামনে এনে বিরোধীরা নিজেদের ব্যর্থকে আড়াল করতে চাইছে।
একই সঙ্গে বাংলায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাল ফল করবে বিজেপি বলেও আশাবাদী তিনি। তিনি বলেন, ‘ভোটের আগে দলবদল কোন ফ্যাক্টর নয়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিজেপি ভাল ফল করবে’। এদিন বাংলায় বিজেপির নেতা কর্মীদের ওপর শাসকদলের আক্রমণ নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। মানিক সাহা বলেন ‘বাংলার এই ভয়ঙ্কর পরিণতি মেনে নেওয়া যায় না। পাশাপাশি তিনি বলেন ‘বাম কংগ্রেসের জন্য কষ্ট হয়। যাদের হাতে আক্রান্ত তাদের সঙ্গেই জোট বাঁধছে কংগ্রেস। এটা লজ্জার’!
২৫ বছরের বাম শাসনে ইতি টেনে বিগত ৫ বছর ধরে ত্রিপুরার ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি-আইপিএফটি জোট। ৬০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে এবারের লড়াই ছিল ত্রিমুখী। একদিকে, বিজেপি-আইপিএফটি জোট, অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস জোট ও তিপ্রা মোথা। নির্বাচনে লড়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও। ত্রিপুরার মসনদে ফের বিজেপি। এই নির্বাচনে মোট ৩২ টি আসন পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি ৩২ টি আসনে জিতেছে। বাম-কংগ্রেস জোটের ঝুলিতে ১৪ টি আসন গিয়েছে। ইন্ডিজেনিয়াস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা একটি আসনে জিতেছে। তিপ্রা মোথা পার্টির প্রার্থীরা শেষ হাসি হেসেছেন ১৩ আসনে। টানা দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন মানিক সাহা।