সোমবার সপ্তাহের কর্মদিবসের প্রথম দিন মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভা। দুই ঘণ্টার বিতর্ক চলবে মণিপুর ইস্যুতে। একঘণ্টা করে বলার সময় পাবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর একঘণ্টা বলার সময় পাবে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।
তার ঠিক আগের দিন মণিপুর ইস্যুতে টুইটে সরব হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্যগঠিত বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার ২১ সদস্যের প্রতিনিধিদল অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে মণিপুরে গিয়েছে। দু'দিনের সফরের শেষ দিন, অর্থাৎ রবিবার মণিপুরের রাজ্যপাল অনসূয়া উইকের সঙ্গে দেখা করেছেন বিরোধী সাংসদরা। তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন স্মারকলিপি।
আর, সেদিনই মণিপুর ইস্যুতে টুইট করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, 'মণিপুরে হৃদয়বিদারক কাহিনি শুনে আমার হৃদয় গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছে। জীবনে কখনও এত ঘৃণার নিষ্ঠুর পরীক্ষার যন্ত্রণা সহ্য করা উচিত নয়। তবুও, ক্ষমতাসীনদের নীরবতার মুখে, আসুন জেনে নিই যে ভারত ক্ষত মেরামত করবে এবং মানবতার শিখাকে আবার জাগিয়ে তুলবে। আমি মণিপুরের সাহসী ভাই ও বোনদের মানবতার স্বার্থে শান্তি আলিঙ্গন করার জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি। আমরা আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছি। অটল সমর্থন এবং সমবেদনা জানাই।'
প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, 'সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে এই টুইট করা হয়েছে। নিজের রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে যে অশান্তি হয়েছে, রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী, শাসকদলের নেত্রী, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রশাসন কোনও কাজ করেনি। সেই কারণে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এই টুইট করেছেন।'
শুভেন্দুর দাবি, 'মোদীজিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য ওঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কাছে কোনও ইস্যু নেই। আর কয়েক মাস পরেই মোদিজির সরকারের ১০ বছর পূর্ণ হবে। এর মধ্যে একটাও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। মোদিজির নেতৃত্বে এত কাজ হয়েছে, দেশের আর্থিক কাঠামো এত মজবুত হয়েছে, করোনার সময় ভ্যাকসিনেশন থেকে নানা ক্ষেত্রে এত ভালো কাজ হয়েছে যা ধনী দেশগুলোও পারেনি।'
আরও পড়ুন- হিংসার ভূমি থেকে পালিয়ে দিল্লির স্কুলে, এখন বন্ধুত্ব শিখছে মণিপুরের পড়ুয়ারা
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, 'সেই কারণেই দুর্নীতিবাজরা যে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন বানিয়েছে, তার কোনও লক্ষ্য নেই। আর, পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির হাল অত্যন্ত খারাপ। পুলিশ তৃণমূলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। ঘুষ খাওয়া, কাটমানি নেওয়া, অত্যাচার করা, বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা, তৃণমূলকে চুরি করে নির্বাচনে জেতানোই এরাজ্যে পুলিশের এজেন্ডা। বাধ্য হয়ে তাই তিনি ও তারা মণিপুর ইস্যুকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইছেন।'