Manipur violence: 'দু বছর ধরে হিংসা, হাজার হাজার মানুষ আহত, আজ পর্যন্ত দেখা মেলেনি মোদীর...', কেন্দ্রকে ভয়ঙ্কর আক্রমণ কংগ্রেসের।
মেইতেই কুকি হিংসা: মণিপুরের অবনতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। দলের তরফে এক্স-এ একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হয়েছে , "২ বছর ধরে জ্বলছে মণিপুর। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, হাজার হাজার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী আজ পর্যন্ত মণিপুর সফর করেননি।"
রবিবার কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা X-এ এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে মোদীকে নিশানা করেছেন। প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী আজ পর্যন্ত মণিপুর সফর করেননি এবং রাজ্যের কোনও প্রতিনিধির সঙ্গেও দেখা করেননি, কখনও শান্তির আবেদন করেননি বা কোনও সুনির্দিষ্ট প্রচেষ্টা করেননি। কেন কেন্দ্রীয় সরকারের এত হস্তক্ষেপের পরেও মণিপুরে শান্তি ফিরছে না? মোদীজি কি ইচ্ছাকৃতভাবে এই রাজ্যকে উপেক্ষা করছেন?”
দলের সিনিয়র নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন যে মণিপুরের জনগণের দুর্ভোগের শেষ নেই। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এনডিএ জয় পেয়েছিল, কিন্তু ২০২৩ সালের ৩ মে রাত থেকে মণিপুর জ্বলছে।
মেইতি নেতার গ্রেপ্তারের পর ফের হিংসা মণিপুরে-
মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় আবারও হিংসা ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এর পর অনেক এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং ইন্টারনেট পরিষেবাও স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার রাতে মেইতি সংগঠনের একজন নেতা এবং কিছু সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এই হিংসা ও উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভকারীরা নেতার মুক্তির দাবিতে রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে। শনিবার রাতে ইম্ফলের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভকারী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। নিরাপত্তা বাহিনী উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে।
২০২৩ সালের মে মাসে মণিপুরে মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হওয়ার পর, এন. বীরেন সিং মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর পরে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে। হিংসার ঘটনায় এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন, শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন।