তাঁর নামে কেষ্ট মুখ খুলতেই পাল্টা অনুব্রতর কাঁধেই সব দায় চাপালেন মণীশ কোঠারি। গরু পাচার মামলায় দিল্লি ডেকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি গ্রেফতার করে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবক্ষককে। ইডি সূত্রের খবর, জেরায় অনুব্রত জানিয়েছিলেন মণীশ কোঠারিই তাঁকে বিভিন্ন খাতে লগ্নির কথা বলতেন। তবে কেষ্টর সেই দাবি উডিয়ে এবার মণীশ সাফ জানিয়েছেন, তিনি নেহাতই অনুব্রত মণ্ডলের কর্মচারী হিসেবে চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের কাজ করতেন। কোথায়-কোন খাতে লগ্নি করতে হবে বা কোন কোন অ্যাকাউন্টে টাকা রাখতে হবে সেই সব নির্দেশ অনুব্রত মণ্ডল নিজেই তাঁকে দিতেন বলে দাবি করেছেন মণীশ কোঠারি।
এবার হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। গত মঙ্গরলবারই দিল্লিতে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতারের পর কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে তাঁকে। অনুব্রত মণ্ডল তাঁকে ফাঁসিয়েছেন বলেও দাবি মণীশের। তবে ইডি সূত্রের দাবি, শুধু অনুব্রত মণ্ডলেরই নয়, তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এমনকী অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের যাবতীয় লগ্নির ব্যাপারেও মণীশ কোঠারিই 'শেষ কথা' ছিলেন।
আরও পড়ুন- বনির মায়ের বড় গলা!, ‘এবার ইডিই সব জানাবে’, কী বললেন পিয়া সেনগুপ্ত?
তবে ইডির হাতে গ্রেফতার হতেই সব দায় পাল্টা কেষ্টর কাঁধেই চাপিয়েছেন মণীশ। এমনকী অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যার নামে থাকা ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট গরু পাচারের টাকাতেই বলে দাবি করেছেন মণীশ।
আরও পড়ুন- গোয়ায় হোটেল, ত্রিপুরায় চা বাগান? এতদিনে ‘ঝেড়ে কাশলেন’ কুন্তল!
ইডির আরও দাবি, গরু পাচারের বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করতে কোন কোন খাতে বিনিয়োগ করা যেতে পারে কিংবা কোন কোন অ্যাকাউন্টে সেই কালো টাকা রাখা যেতে পারে সেব্যাপারে যাবতীয় পরামর্শ দিতেন এই মণীশই। যদিও মণীশ নিজে সেকথা অস্বীকার করেছেন। বদলে কেষ্টকেই 'নাটের গুরু' হিসেবে মন্তব্য করেছেন তিনি। এদিকে, গরু পাচার মামলায় শুক্রবারই দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের রাঁধুনি বিজয় রজক।