New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/07/hammer.jpg)
আগামী ২৫ জুলাই মনুয়া মামলায় রায়দান।প্রতীকী ছবি।
অনুপম সিং হত্যা মামলায় আজ রায় দিল না আদালত। আগামী ২৫ জুলাই এ মামলার পরবর্তী শুনানি।
আগামী ২৫ জুলাই মনুয়া মামলায় রায়দান।প্রতীকী ছবি।
মনুয়াকাণ্ডে নয়া মোড়। অনুপম সিং হত্যা মামলায় আজ রায় দিল না আদালত। আগামী ২৫ জুলাই এ মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন রায়দান হতে পারে বারাসত ফার্স্ট ট্র্যাক আদালতে। এদিন মনুয়াকাণ্ডে রায়দান স্থগিত হয়ে যাওয়ায় কার্যত হতাশ নিহত অনুপমের পরিজনরা। উল্লেখ্য, এদিন সকাল থেকেই বারাসত আদালতে ভিড় জমিয়েছিলেন অনেকে। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়ে এলাকায় পোস্টারও দেওয়া হয়।
রায়দান স্থগিত প্রসঙ্গে অনুপমের মা বলেন, ‘‘হতাশ হলাম খুব। বাংলাদেশ থেকে অনেক আত্মীয়স্বজনরা এসেছেন। প্রতিবেশীরাও এসেছেন। ছেলের বন্ধুরা তো প্রথম থেকে আমাদের সঙ্গে রয়েছেন’’। রায়দানের সময় পিছোনো প্রসঙ্গে অনুপমের বাবা এদিন বলেন, ‘‘আদালত দিন পরিবর্তন করেছে। কারণটা বুঝতে পারলাম না’’। অনুপমের এক বন্ধুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘খারাপ লাগছে’’।
আরও পড়ুন: সব্যসাচী দত্তকে আইনি নোটিস বিধাননগরের কাউন্সিলরের
কী ঘটেছিল ?
২০১৭ সালের ২ মে উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুরে ভ্রমণ সংস্থার কর্মী অনুপম সিংহকে খুন করা হয়। পরের দিন নিজের বাড়ি থেকেই দেহ উদ্ধার হয় অনুপমের। প্রথমে খুনের কারণ নিয়ে ধন্দে পড়ে পুলিশ। পরে ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পান তদন্তকারীরা। অনুপমের স্ত্রী মনুয়াই খুনে জড়িত বলে জানতে পারে পুলিশ। এরপরই মনুয়ার কললিস্ট দেখে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পায় পুলিশ। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই প্রেমিককে দিয়ে স্বামীকে খুন করেছে মনুয়া মজুমদার। এমন তথ্যই হাতে পায় পুলিশ। ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় মনুয়ার প্রেমিক অজিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে হাইকোর্টে রোজ রাজীব মামলার শুনানি
এ ঘটনায় রীতিমতো সাড়া পড়ে যায় রাজ্যে। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, অজিতের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মনুয়ার। প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধার জন্যই স্বামীকে পৃথিবী থেকে সরানোর ছক কষে মনুয়া। প্রেমিকার প্রেমে অন্ধ হয়ে গিয়েছিল অজিতও। তাই মনুয়ার কথাতেই অনুপমকে সরানোর দায়িত্ব নেয় অজিত। মাথার পিছনে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে অনুপমকে খুন করা হয়। যখন খুন করা হয় অনুপমকে, সেসময় অজিতের ফোনের ওপাড়ে ছিল মনুয়া। ফোনে মনুয়া স্বামীর আর্তনাদ শোনে। এ ঘটনার পর কয়েকদিন কান্নাকাটি করে রীতিমতো অভিনয় করে মনুয়া। কিন্তু পুলিশি তদন্তে শেষ পর্যন্ত মনুয়ার অভিনয় ধরা পড়ে যায়।
অনুপম হত্যাকাণ্ডে ৩১ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণ নেওয়া হয়েছে। ১৮৬ দিনের মাথায় এ ঘটনায় চার্জশিট পেশ করা হয়। মনুয়া ও তার প্রেমিক অজিতকে কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে অনুপমের পরিবার। প্রায় ২ বছর ধরে বিচারের আশায় বুক বেঁধে রয়েছেন অনুপমের পরিজনরা। রায়দান পিছিয়ে যাওয়ায় অনুপমের হতাশ পরিজনরা এখন তাকিয়ে ২৫ জুলাইয়ের দিকে।