বেজেই চলেছে ফোন। ভোট-সন্ত্রাস নিয়ে উপচে পড়া অভিযোগ রাজভবনের পিস রুমে। আজ পর্যন্ত ৩০০-র বেশি অভিযোগ গিয়েছে রাজভবনের শান্তি-কক্ষে। শুধু ফোনেই নয়, ইমেল করেও জানানো হচ্ছে অভিযোগের পাহাড়। অভিযোগ মিলতেই নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই সীমাহীন সন্ত্রাস দেখছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। জেলায়-জেলায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শুরু থেকে তুমুল অশান্তি হয়েছে। খড়গ্রাম, নওদা, চোপড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, মালদহের সুজাপুরে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসার বলি হয়েছেন সধারণ মানুষ। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ভোট-সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন ৭ জন।
আরও পড়ুন- খুন হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন নওশাদ! ISF বিধায়ককে জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা কেন্দ্রের
এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজভবনে তিনি খুলেছেন পিস রুম। নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ রাজ্যপালের পিস রুমে জানাতে পারছেন সাধারণ মানুষ। অভিযোগ পেয়েই দ্রুত পদক্ষেপ করছে রাজভবন। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে এই পিস রুম। গত ১৬ জুন থেকে রাজভবনে চালু হয়েছে পিস রুম। ইতিমধ্যেই ৩০০-র বেশি অভিযোগ এসেছে এই পিস রুমে। অভিযোগ মিলতেই রাজভবনের তরফে যোগাযোগ করা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের সঙ্গে। সেই মতো পদক্ষেপ করছে কমিশন-সরকার।
আরও পড়ুন- টনক নড়ল প্রশাসনের! আরাবুল-হাকিমুলদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ পুলিশের
রাজভবনের পিস রুমে একনাগাড়ে বেজে চলেছে ফোন। তবে শুধু ফোনেই নয়, ইমেল করেও জানানো যাচ্ছে অভিযোগ। প্রায় প্রতি মিনিটে হিংসা-অভিযোগে ঢুকছে ইমেল। রাজভবনের কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর - 03322001641, এছাড়াও OSD2w.b.governor@gmail.com এ ইমেল করেও জানানো যাচ্ছে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- শতাব্দীপ্রাচীন মহিষাদলের রথযাত্রা, যার পিছনের ইতিহাসটা আজও জোর চর্চাবহুল!
সোমবার রাজভবনের এই কন্ট্রোলরুমের তদারকিতে এসেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। কর্তব্যরত অফিসারদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। ভোট সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ এলেই তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যপাল পিস রুমের আধিকারিকদের এদিন বলেন, 'অনেক গ্রামের মানুষ ইমেল করে অভিযোগ জানাতে পারেন না। তাঁদের সেটা করতে জোর করবেন না। শুধু অভিযোগটা শুনে নিন। পরে তা নির্বাচন কমিশন, মুখ্যসচিবের কাছে পাঠান।'
আরও পড়ুন- সপ্তাহের প্রথম দিনেই বিরাট বিভ্রাট! শিয়ালদহ শাখায় ব্যাহত ট্রেন চলাচল
পরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আরও বলেন, 'আমরা মানুষকে সাহায্য করতে চাইছি। অভিযোগ মিলতেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। রাজ্যপালেরও একটা দায়িত্ব থাকে। আমি বাংলার জনগণের স্বার্থে কাজ করছি। বাংলার মানুষ চাইছেন নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হোক। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, যাতে অবাধ ও সু্ষ্ঠু নির্বাচন করা যায়।'