Advertisment

'প্রতিটি সমাধানেও সমস্যা খোঁজেন অনেকে', তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য রাজ্যপালের

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের দ্য আইডিয়া এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে উপস্থিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে অনেক প্রশ্নের খোলামেলা জবাব রাজ্যপালের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Many people find problems in every solution feels the governor cv ananda bose

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস মনে করেন তাঁর অফিস এবং পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত সরকারের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি একটি সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার অংশ মাত্র। রাজভবনকে সবসময় একটি দ্বন্দ্বহীন ক্ষেত্র হতে হবে বলেই মনে করেন রাজ্যপাল। তিনিও সব সমস্যায় আলোচনার পথে হেঁটেই রাজ্যের সঙ্গে সুষ্ঠু সম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।

Advertisment

সি ভি আনন্দ বোসের আগে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন বর্তমান উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। সেই সময় ফি দিন নানা ইস্যুতে রাজভবন-নবান্নের দ্বৈরথ নজর এড়াত না। ধনকড় রাজ্যের শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত-কাজের ধরনে ক্ষুব্ধ থাকতেন। একটা সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-ধনকড় বাগযুদ্ধ 'রোজকার ব্যাপার' হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যদিও সি ভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকে রাজ্য সরকার তাঁর সঙ্গে মসৃণ পথে চলার মনোভাব দেখিয়েছে। রাজ্যপাল নিজেও সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই কাজ করতে উদ্যোগী হয়েছেন।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের দ্য আইডিয়া এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “আমার মতে, মতানৈক্যের বদলে সমঝোতা হওয়া উচিত। সর্বদা একটি মধ্যম পথ সমাজের জন্য ভাল বলে মনে হয়। রাজভবনকে দন্দ্বহীন একটি ক্ষেত্র হয়ে উঠতে হবে।” ধনকড় উপ-রাষ্ট্রপতি হয়ে চলে যাওয়ার পর গত বছরের ২৩ নভেম্বর সি ভি আনন্দ বোস পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। বোস রাজভবনে আসার পর থেকে তাঁর সঙ্গে সুষ্ঠু সম্পর্ক রাখার ব্যাপারে অনেকটাই আগ্রহী হতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জনসমক্ষে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্বীকারও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী রাজ্যপালকে "নিখুঁত ভদ্রলোক" বলেও অভিহিত করেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন- সাঁইবাড়ির হত্যাকাণ্ড: কমিশনের পর কমিশন! পালাবদলের পরও ফল দূরস্ত, হতাশ পরিবার

বাংলায় এসে বাংলা শেখার জন্য রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান হয়েছে রাজভবনে। প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজভবনে সেই হাতেখড়ির অনুষ্ঠানে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। এককথায় ধনকড় জমানা ভুলে রাজ্যপালের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমেই পথ চলতে চায় রাজ্য। রাজ্যপাল নিজেও সেব্যাপারে আগ্রহী। তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে তাঁর মধ্যম পথে চলার ধারণা গৃহীতও হয়েছে, এই বিষয়টিতে তিনি বেশ সন্তুষ্ট।

আরও পড়ুন- জোর ধাক্কা, পঞ্চায়েতের আগেই তাই পুরনো ধাঁচে সংগঠনের হাল ধরছেন মমতা

কীভাবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের পরিবেশকে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কে পরিণত করতে পেরেছেন তিনি? এপ্রসঙ্গে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বলেন, “দেশে সমবায় ফেডারেলিজমের ধারণায় যে বিবর্তন ঘটছে তার আমি কেবল একজন নীরব সাক্ষী ছিলাম। প্রতিটি সমস্যার জন্য একটি সমাধান আছে এবং সব সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার জন্য একটি সৎ প্রচেষ্টা থাকা উচিত।" তাঁর কথায়, “আমার মতে দুই ধরনের মানুষ আছে- এক যারা সমস্যার সমাধান খুঁজে পান এবং অন্যরা যারা প্রতিটি সমাধানে সমস্যা খুঁজে পান। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে আমার সীমিত ভূমিকা পর্যন্ত আমি অবশ্যই সমঝোতা এবং সহযোগিতার পথ অনুসরণ করতে চাই।”

Indian Express West Bengal cv ananda bose Mamata Banerjee Bengal Governor
Advertisment