Bangladesh unrest: একটানা ১৫ বছরের শাসনের পর গতকালই গদিচ্যুত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। কোটা আন্দোলন (Quata Protest) কেন্দ্র করে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শেষ হতে না হতেই দাবি ওঠে শেখ হাসিনার পদত্যাগের। সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র প্রয়োগেও আগুনে সেই আন্দোলনকে থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন মুজিব-কন্যা। শেষমেষ গতকাল প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে কার্যত পালিয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন হাসিনা।
শেখ হাসিনার ইস্তফার পরেও হিংসার আগুন নেভেনি বাংলাদেশে। গতকালও প্রায় ১৫ টি থানা এবং দুটি জেলখানায় হামলা হয়েছে বলে। জেল-থানার লক-আপে বন্দি ছিলেন নিষিদ্ধ জামাত সংগঠনের বহু সদস্য। তারাও এবার মুক্ত।
এখানেই ভারতের আতঙ্ক বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি সীমান্ত ভাগ করেছে। বাংলার সীমান্ত দিয়েই এবার এদেশে ঢুকে পড়তে পারে নিষিদ্ধ জামাত গোষ্ঠীর লোকজন। পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে এদেশে ঢুকে আবারও ভারতে নাশকতামূলক কাজকর্মে তারা মদত দিতে পারে। এর আগেও এদেশে হওয়া একাধিক নাশকতায় জামাত যোগ স্পষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন- ভারতই নিরাপদ আশ্রয়, আপাতত দিল্লিতে থাকছেন হাসিনা
সেই কারণেই এবার বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত থাকা পশ্চিমবঙ্গের সব থানাকে চূড়ান্ত সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে সীমান্তে নজরদারি বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে BSF। অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা যাতে কোনও মতেই বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢুকে পড়তে না পারে তার জন্য জোরদার তৎপরতা নিয়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী।
আরও পড়ুন- সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী থেকে দেশ ছেড়ে পলায়ন! হাসিনার উত্থান আর পতন একনজরে
রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বাংলাদেশ বরাবর সীমান্ত রয়েছে ভারতের। সেই সব জায়গাগুলির মধ্যে অনেক জায়গাতেই নেই কোনও কাঁটাতার। জানা গিয়েছে, সীমান্তের যে অংশে কাঁটাতার নেই সেখানে এবার নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গের মহদিপুর, হিলি, চ্যাংড়াবান্ধা, ফুলবাড়ি সীমন্তে নজরদারি আরও বাড়িয়েছে দিয়েছে BSF। একইভাবে নজরদারি বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, মালদা, মুর্শিদাবাদে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে।
আরও পড়ুন- মুজিবের 'শাহাদাত'-এর মাসেই ক্ষমতাচ্যুত কন্যা হাসিনা, ইতিহাস ফিরল বাংলাদেশে