Haldia Refinery Fire: হলদিয়া তৈল শোধনাগার অগ্নিকাণ্ডে অগ্নিদগ্ধ শ্রমিকদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনার পর ১৭ জন শ্রমিককে গ্রিন করিডর করে কলকাতা নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁরা শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাশাপাশি হলদিয়ায় ৭ জন এবং তমলুকে ৩ জনের চিকিৎসা চলছে। কলকাতায় চিকিৎসাধীন শ্রমিকদের ৮০% পুড়ে গিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের অক্সিজেন দেওয়া হলেও, শরীরের অধিকাংশ পুড়ে যাওয়ায় অক্সিজেন নিতে সমস্যা হচ্ছে। আপাতত ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁদের।
এদিকে, এই দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যে তিন জনের মৃত্যুর খবরে মিলেছে। মঙ্গলবার দুপুরে হলদিয়ার ইন্ডিয়ান অয়েলের রিফাইনারিতে মহরা দৌড় চলছিল। আগুন লাগলে বা অন্য কোনও বিপর্যয়ের মোকাবিলা কীভাবে করা যাবে, সেব্যাপারেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল কর্মীদের। এদিন সেই প্রশিক্ষণ চলাকালীন কোনওভাবে একটি ট্যাঙ্কার থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ একাংশের। তবে অন্য একটি অংশের দাবি, ঝালাইয়ের কাজ চলার জেরে আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে। কোনওভাবে রাসায়নিক তরলের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই ভয়াবহ আকার নেয় আগুন।
কালো ধেঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। দাউ দাউ করতে জ্বলতে থাকে IOC-র রিফাইনারি প্ল্যান্ট। সেই সময়ে প্ল্যান্টের ভিতরেই ছিলেন শ্রমিক ও আধিকারিকরা। আগুন লাগার পরেই হুলস্থূল পড়ে যায় গোটা প্ল্যান্টে। ছোটাছুটি শুরু করে দেন প্রত্যেকে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে কমপক্ষে ৫০ জন অগ্নিদগ্ধ হন। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কাজ শুরু দেয় পুরোদমে। কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বিপদ এড়ানো যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থেল গিয়ে পৌঁছয় দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। ঘটনাস্থলে যান বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও।
এই ঘটনার প্রতিবাদ করে এদিন সকালে তৈল শোধনাগারের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন। অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে কতৃপক্ষকে। এই দাবিতে সোচ্চার ছিলেন তারা। পাশাপাশি আহত এবং নিহতদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ। এবং মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরির দাবিতে গেটের সামনেই বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন