নাশকতার আশঙ্কা প্রশাসন আগেই করেছে। তাই জঙ্গলমহলজুড়ে জারি রয়েছে হাই এলার্ট। কিন্তু তাতেও আতঙ্ক কমছে না। উল্টে হাই এলার্ট জারির মধ্যেও জঙ্গলমহল থেকে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক মাও পোস্টার। কিষাণজির হত্যার মৃত্যুর বদলা দাবি করে এবার মাওবাদীদের পোস্টার উদ্ধার করা হল বাঁকুড়ার খয়েরবনি থেকে। সেখানে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে খেলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার কথা জানানো হয়েছে।
গড়বেতার পর এবার মাওবাদী পোস্টার পড়ল বাঁকুড়া জেলার খয়েরবনিতে। এনকাউন্টারে মৃত মাও নেতা নেতা কিষেণজির মৃত্যুর বদলা নেওয়ার পাশপাশি রাইপুর পুলিশ ফাঁড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি রয়েছে এই পোস্টারে। সেই সঙ্গে লালকালি দিয়ে লেখা পোস্টারে রয়েছে দূর্নীতিগ্রস্থ নেতা ও সরকারী কর্মচারীদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার হুমকি। মঙ্গলবার সকালে এমনই বেশ কিছু পোস্টার ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও শাসকদলের বক্তব্য মাওবাদীদের নাম ভাড়িয়ে এটা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। এই পোস্টার নিয়ে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার সকালে খয়েরবনি এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় লালকালি দিয়ে হাতে লেখা মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খয়েরবনি বাস স্টপেজের যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে মাওবাদী পোস্টার পড়ে থাকতে দেখা যায়। মাওবাদীদের নামাঙ্কিত পোস্টারে লেখা রয়েছে, 'আমাদের কিষেনজির মৃত্যুর বদলা চাই। বর্তমান সরকারের যে সব কর্মচারী দূর্নীতিগ্রস্থ তাদের বলছি তোমাদের সময় শেষ হয়ে গেছে।' অন্য পোস্টার গুলিতে লেখা রয়েছে 'খেলা হবে খেলা হবে, এবার তো আমরা খেলব টি এমসি নেতাদের সঙ্গে। বল হরি হরি বোল। হামলা হবে পুলিশ ফাঁড়িতে।' তবে মাওবাদী পোস্টারের কথা স্বীকার সারেঙ্গা থানার পুলিশ।
এতে উদ্বিগ্ন নন স্থানীয় তালডাংরা বিধানসভার কেন্দ্রের বিধায়ক অরুপ চক্রবর্তী। মাওবাদী পোস্টার প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'এই ঘটনার সঙ্গে মাওবাদীদের যোদ নেই। মাওবাদীদের নাম ভাঁড়িয়ে এসব করছে বিরোধীরা। সব উষ্কানিমূলক। যাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে বা যারা বঞ্চিত সেই সব স্বার্থান্বেষী লোক মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার লাগিয়ে ফয়দা নিতে চাইছে। প্রশাসন এর তদন্ত করে সেই সব স্বার্থান্বেষী লোকদের খুঁজে বের করে সাজা দেবে। বর্তমান সরকার জঙ্গলমহলে ব্যপক উন্নয়ন করেছে, সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি এলাকাকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় করে তুলেছে।'