Advertisment

ধর্ম যার যার, উৎসব সবার, সম্প্রীতির ভাইফোঁটা হাটগোবিন্দপুরে

হিন্দু ভাইদের ফোঁটা দিলেন মুসলিম বোনেরা। একই মঞ্চে মুসলিম ভাইদের মঙ্গল কামনায় ফোঁটা দিলেন হিন্দু বোনেরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Mass BhaiPhonta celebrate at East Burdwan Hatgobindapur, trying to polish communal harmony

সম্প্রীতির ভাইফোঁটা।

সম্প্রীতির অনন্য এক ছবি ধরা পড়ল ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায়। সৌজন্যে পূর্ব বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। হিন্দু ভাইদের ফোঁটা দিলেন মুসলিম বোনেরা। একই মঞ্চে মুসলিম ভাইদের মঙ্গল কামনায় কপালে ফোঁটা হিন্দু বোনেদের। ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে রাস্তার পাশের একটি ছোট্ট মঞ্চ সাক্ষী থাকল অভিনব এক গণ-ভাইফোঁটার। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- অভূতপূর্ব এই উদ্যোগের মাধ্যমে এই বার্তাই দিতে চাইলেন হাটগোবিন্দপুর মিলন লায়ন্স ক্লাবের সদস্যরা।

Advertisment

এ এক অন্য ভাইফোঁটা। হিন্দু ভাইদের ফোঁটা দিচ্ছেন মুসলিম বোনেরা। আবার মুসলিম ভাইদের কপালে ফোঁটা দিচ্ছেন হিন্দু বোনেরা। শনিবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুরে অভিনব এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় মিলন লায়ন্স ক্লাব ও এলাকারই কয়েকজন উৎসাহী মানুষজনের প্রচেষ্টায় সম্ভব হল এই কর্মকাণ্ড।

publive-image
ভাইদের মঙ্গল কামনায় ফোঁটা দিচ্ছেন বোনেরা।

শহর বর্ধমান থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই হাটগোবিন্দপুর গ্রাম। শনিবার সকালে গ্রামের রাস্তার পাশে ছোট্ট একটি মঞ্চে আয়োজন করা হয়েছিল অভূতপূর্ব এই ভাইফোঁটার। সকাল থেকেই ভাইদের ফোঁটা দিতে হাজির ছিলেন বোনেরা। নিছকই একটি ধর্মের বেড়াজালে আটকে ছিল না এই উদ্যোগ। এলাকারই সবাই হাজির ছিলেন এই মঞ্চে।

publive-image

এলাকার হিন্দু বোনেরা পরম যত্নে ফোঁটা দিলেন এ তল্লাটেরই মুসলিম ভাইদের। উল্টো ছবিটারও দেখা মিলল। হিন্দু ভাইদের মঙ্গল কামনায় ফোঁটা দিলেন মুসলিম বোনেরাও। চলল মিষ্টিমুখ-হাসি-ঠাট্টা ইয়ার্কি। ফোঁটা দেওয়ার পাশাপাশি ভাইদের হাতে চারাগাছ তুলে দিলেন বোনেরা। সব মিলিয়ে মহতী এক লক্ষ্য পূরণে একশো শতাংশ সফল উদ্যোক্তারা।

publive-image
টোটোচালককে ফোঁটা এক বোনের।

আরও পড়ুন- ধাপে-ধাপে নামছে পারদ, জাঁকিয়ে ঠাণ্ডার কাউন্টডাউন শুরু

শুধু মঞ্চেই সীমাবদ্ধ ছিল না ভাইফোঁটার এই অনুষ্ঠান। পথচলতি মানুষজন থেকে শুরু করে রিক্সা, টোটোচালকদের দাঁড় করিয়ে ফোঁটা দিলেন বোনেরা। অভিনব এই উদ্যোগের অন্যতম আয়োজক ডক্টর সাধন লাহা। তিনি বললেন, 'ভাইফোঁটার মতো এমন একটি অনুষ্ঠান শুধুমাত্র একটি ধর্মের মধ্যে আবদ্ধ রাখতে চাইনি। সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হল। হিন্দু-মুসলমানের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ককে সম্মান জানাতেই আমাদের এই উদ্যোগ।' এলাকার বিশিষ্টজনেরাও মহতী এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

West Bengal East Burdwan
Advertisment