child abduction rumours: উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের কাজিপাড়া থেকেই প্রথম 'ছেলেধরা' গুজব ছড়ায়। এবার সেই গুজবের মূল 'হোতা'কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ওই এলাকার একটি শিশু হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপর ওই শিশুর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনার পর থেকেই 'ছেলেধরা' গুজব মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ে বারাসত-সহ জেলার অন্যত্র।
কাজিপাড়ার ওই ঘটনার পর থেকে বারাসতের অন্য এলাকা, অশোকনগর, খড়দহ, ব্যারাকপুর, দেগঙ্গা-সহ একাধিক জায়গায় 'ছেলেধরা' গুজব দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় অজানা কাউকে দেখলেই 'ছেলেধরা' গুজব ছড়াচ্ছেন একাংশ। তারই জেরে চলছে মারধর-অত্যাচার। গত কয়েকদিনে এমন ঘটনা বেশ কয়েকবার সামনে এসেছে।
এরপর রবিবারই 'ছেলেধরা' গুজবের মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতারের দাবি বারাসতের পুলিশ সুপারের। বারাসাতের কাজিপাড়া থেকে আনজির নবি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একটি শিশুকে খুন করে সেই অপরাধ ঢাকতেই ধৃত ব্যক্তি 'ছেলেধরা' গুজব রটিয়েছিল বলে দাবি পুলিশ সুপারের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরেই ধৃত ব্যক্তি বাচ্চাটিকে খুন করেছে। জেরায় সে খুনের কথা স্বীকারও করেছে।
আরও পড়ুন- WBCHSE: আজব কাণ্ড! স্কুল পুরোদমে চালু হলেও এখনও বই হাতে পায়নি বহু পড়ুয়া
এদিন পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খারিয়া বলেন, "পুলিশ গেলেই ওই লোকটা চলে আসছিল। ও রটাচ্ছিল যে কেউ বাচ্চার কিডনি চুরি করেছে। ওই ব্যক্তি মসজিদে আজান দেয়। মসজিদ থেকেই ও মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছিল। পুলিশকে হেনস্থা করতে বলছিল বাকিদের। গুজব চলছে। এই লোকটাই করেছে। খুন ঢাকতেই এটা করেছে ও। পাড়ায় অজানা কাউকে দেখলেই একাংশের জনগণ উল্টো আচরণ করছে। হোয়োটাসঅ্যাপেও গুজব ছড়ানো হচ্ছে।"
আরও পড়ুন- Digital School: সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় ডিজিটাল স্কুল, খুশিতে ডগমগ খুদে পড়ুয়ার দল
পুলিশ সুপারের কথা, "আজ এই কান্ডের আমরা সমাধান করেছি। প্রথম এই ব্যক্তিই গুজব ছড়িয়েছে। কাজিপাড়ার আনজারই এটা করেছে। এটা সবাইকে জানান। যাতে এরপর আর কোথাও যেন আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি না হয়। এটা গুজব। অপরাধীকে গ্রেফতার করেছি। অপরাধ লুকোতেই ও এসব করেছে। এখান থেকেই গুজবটা ছড়িয়েছে।"