মাটি মাফিয়াদের সঙ্গে পুলিশের আঁতাঁত নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সময় মুখোপাধ্য়ায়। একই ইস্যুতে ফের সরব তিনি। এবার মাটি পাচার নিয়ে সমরবাবুর নিশানায় দলেরই ব্লক সভাপতি। যা নিয়ে শাসক দলের অভ্যন্তরেই শোরগোল পড়েছে। তৃণমূলতে বিঁধতে ছাড়ছে না বিরোধী শিবির।
সরাসরি তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে মাটি মাফিয়াদের পান্ডার সঙ্গে তুলনা করেছেন রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্য়ায়মুখোপাধ্য়ায়। আর বিধায়কের এই বিস্ফোরক দাবিকে খোলাখুলি সমর্থন করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী।
পাল্টা তৃণমূল বিধায়ককে 'পাগল' বলে কটাক্ষ করেছেন রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ফজলুল হক। দলের বিধায়ক ও জেলা সভাপতির সঙ্গে ব্লক সভাপতির এই কাজিয়ায় রীতিমত অস্বস্তিতে জোড়া-ফুল বাহিনী।
রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, 'ফজলুল হক তৃণমূলের বোরখা পড়ে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। সে রতুয়া থানার আইসি সুবীর কর্মকারের সঙ্গে যুক্ত। এই সুবীর কর্মকারের আমি বদলি দাবি করেছি। রাতে এই মাটি মাফিয়ারা থানায় যায় ঘুষ দেয়। টাকার বিনিময়ে এবং ভেতরে ভেতরে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। সেই কারণেই আইসি এই ধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। কলকাতায় গেলে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।'
বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় আরও অভিযোগ, 'রতুয়া নাককাটি ব্রিজকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে এরা। যার কারণে ওই এলাকা থেকে ফুলহার নদীর বাঁধের মাটি বেআইনিভাবে প্রতিদিনই গাড়িতে করে পাচার করা হচ্ছে। আর এই ঘটনার পিছনে দলের ব্লক সভাপতি এবং রতুয়া থানার আইসি মদত রয়েছে।'
যদিও বিধায়কের এই অভিযোগ মানতে নারাজ রতুয়া ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুল হক। তিনি বলেন, 'উনি পাগল হয়ে গিয়েছেন। ওনার জানা উচিত আমি একজন শিক্ষক। তিনি যে কথাগুলো বলছেন সেগুলো মিথ্যে কথা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। উনি এখানে সিবিআই ডাকুন। তদন্ত করে প্রমাণ করুক যে এখানে ফজলুল হক জড়িত কিনা।'
যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, 'বিধায়কের বাড়ি ওখানে। উনি যা বলছেন সঠিক কথাই বলছেন। আমরা এই বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্ব সাথে কথা বলবো।'
বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, 'মাটি নিয়ে কোটি কোটি টাকার কারবার চলছে। আর সেই টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে এই গন্ডগোল। প্রশাসনকে উচিত পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ করা।'