/indian-express-bangla/media/media_files/2025/11/02/matua-community-divided-over-sir-caa-row-in-thakurnagar-politics-2025-11-02-12-06-23.jpg)
SIR বনাম CAA: নাগরিকত্ব না ভোটাধিকার? নয়া বিতর্কে মতুয়া সমাজে নতুন দোটানা!
এসআইআর(SIR) আবহে রাজনীতির মহা ঘুর্নিপাক মতুয়া সম্প্রদায়ে। একপক্ষ যখন সিএএ ফর্ম ফিলাপে সহায়তা করতে ব্যস্ত বলে দাবি করছে, তখন অন্য পক্ষ এসআইআর বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনে বসার ডাক দিয়েছে। এই মুহুর্তে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি নাগরিকত্ব ও এসআইআর প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত শুধু নয়, দুই ধরনের মতামতে রীতিমত উত্তপ্ত। এদিকে মোটা টাকার বিনময়ে ফর্ম ফিলাপের অভিযোগেও তোলপাড়।
আরও পড়ুন- বঙ্গ রাজনীতির ছন্দপতন, না ফেরার দেশে জনপ্রিয় দাপুটে নেতা
এক বাড়িতে দুজন সাংসদ, দুজন বিধায়ক। তার মধ্যে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বনগাঁর রাজনীতির ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু এখন ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি। সিএএ-য়ের মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে এখনও বিতর্ক জারি রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ সিএএ ফর্ম ফিলাপে সাহায্য করছে বলে ঠাকুরবাড়িতে শিবির করছে। সেখানে প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ ভিড় করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, "মোটা টাকা নেওয়া হচ্ছে এই ফর্ম ফিলাপ করতে।" যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে শান্তনু ঠাকুরের অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্রনাথ গাইন। তিনি বলেন, "আমরা কোনও অন্যায় করছি না। সদস্যপদ গ্রহণের জন্য টাকা নেওয়ায় কোনও জোর দেওয়া হচ্ছে না। যে যেমন পারছেন দিচ্ছেন।"
আরও পড়ুন- সপ্তাহান্তে হুড়মুড়িয়ে কমল সোনার দাম, লাখ টাকার নিচে নামা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা!
এদিকে সিএএ প্রক্রিয়া চলাকালীন এসআইআর শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এই এসআইআরের মূল ভিত্তি ২০০২ সালের ভোটার তালিকা। এটা নিয়েই মতুয়া শিবিরের একাংশের বড় প্রশ্ন। নির্বাচন কমিশন যে ১৪টি নথির কথা বলেছে সেখানে কোথাও সিএএ-র উল্লেখ নেই। অথচ এনআরসি-র কথা বলা হয়েছে। বিজেপি নেতারা বলছেন, সিএএ আবেদন করলে ভোটার তালিকায় নাম উঠবে। তাহলে নির্বাচন কমিশন কেন সিএএ-য়ের কথা সরকারি ভাবে উল্লেখ করেনি ওই তালিকায়, সেই প্রশ্ন উঠেছে। সেই প্রশ্নের সরাসরি সদুত্তর দিতে পারেননি শান্তনু ঠাকুরের সর্ব ভারতীয় মতুয়া মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্রনাথ গাইন। তিনি বলেন, "আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দাবি করেছিলাম আবেদন করার পর একনলেজমেন্ট রিসিট থাকলে আমাদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। লিখিত দাবি রেখেছি। উনি আশ্বাস দিয়েছেন।"
আরও পড়ুন- চলন্ত ট্রেনে রক্তারক্তি কাণ্ড, ছুরি দিয়ে পরপর যাত্রীদের কোপ, গুরুতর আহত কমপক্ষে ১০
এদিকে ৫ নভেম্বর থেকে আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছে তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তিনি দাবি করেছেন, "এসআইআরের ফলে প্রায় ১কোটি মতুয়ার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে। তাই এসআইআর বাতিল করতে হবে।" আগামী ৫ নভেম্বর এসআইআর বাতিলের দাবিতে ঠাকুরবাড়িতে অনশনের ডাক দিয়েছেন মমতাবালা ঠাকুর। এদিকে ৪ নভেম্বর এসআইআর প্রক্রিয়াকে কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্ত বলে অভিযোগ করে কলকাতার পথে নামছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- বৃষ্টি বিদায়েই জাঁকিয়ে শীত বঙ্গে, জানুন আজকের ব্রেকিং ওয়েদার আপডেট
এই মুহুর্তে ঠাকুরবাড়িতে সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসঙ্ঘ নামে দুটি সংগঠন আছে। একটি বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে পরিচালিত, আরেকটি তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের নেতৃত্বে। জোর জল্পনা শুরু হয়েছে তৃতীয় কারও নেতৃত্বে আর একটি সংগঠনের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। যদিও এখন তা শুধু চর্চাতে রয়েছে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us