/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/07/XxZY7sBTBitS9bb87isc.jpg)
News in West bengal Live: গুরুত্বপূর্ণ খবরের টাটকা আপডেট জানুন।
Congress VS BJP: মহোৎসবের কথা বলে ভুল বুঝিয়ে রাহুল গান্ধীর কাছে নিয়ে গেছিল, বিহার থেকে ফিরে শান্তনু ঠাকুরের কাছে অভিযোগ মতুয়া ভক্তদের।
২ দিন আগে বনগাঁ থেকে ১০ - ১৫ জনের একটি মতুয়ার দল বিহারে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাদের একটি ছবিতে ব্যানারে লেখা দেখা যাচ্ছে SIR এ বিপদ কংগ্রেসে নিরাপদ। যাকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তাহলে কি মতুয়া ভোটে ভাগ বসাচ্ছে কংগ্রেস।
বিহারে থেকে ফিরে রবিবার শান্তনু ঠাকুরের কাছে আসেন মতুয়া ভক্তরা। তারা শান্তনু ঠাকুরের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তাদের বলা হয়েছিল বিহারে মতুয়া মহোৎসব আছে। মহোৎসবের কথা শুনে তারা গিয়েছিলেন। তাদের দাবি , স্থানীয় বিজেপি নেতা তপন হালদার তাদের ভুল বুঝিয়ে নিয়ে গেছিল। তারা সিএএ এবং এস আই আর এর পক্ষে।
শান্তনু ঠাকুর বলেন, মতুয়া ভক্তদের ভুল বুঝিয়ে সমস্ত ভাড়া দিয়ে নিয়ে গেছে, এবং যারা গেছে তাদের কিছু টাকা দেওয়ার কথা বলেছে। এক্ষত্রে টাকার খেলা হয়েছে। কংগ্রেস মতুয়া ভোটে ভাগ বাসাতে চাইছে। কিন্তু মতুয়ারা তা হতে দেবে না।
বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিকাশ ঘোষ বলেন, মতুয়াদের ভুল বোঝানোর জন্য তপন হালদারকে শোকজ করা হবে।
তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তপন। তার দাবি, তিনি যা বলার দলকে বলবেন। তিনি বিজেপির সক্রিয় কর্মী।
এবিষয়ে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি ইন্দ্রাণী দত্ত চ্যাটার্জি বলেন, মতুয়ারা রাহুর জি-র সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল তাদের যে ভাবে হেনস্তা হতে হচ্ছে, লাইন দিয়ে যে ভাবে নাগরিকত্বের প্রমান দিতে হচ্ছে, হিন্দুত্বের কার্ড করতে হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে । তাদের সেই দুঃখের কথা জানাতে। ব্যানার তো মিথ্যা কথা বলে না। এখন কেউ যদি টাকা দিতে মিথ্যা কথা বলায় সেই দায়িত্ব তো আমাদের নয়।
মতুয়া সমাজ নিয়ে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাল প্রদেশ কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র কেতন জয়সোয়াল রবিবার এক বিবৃতিতে জানান, “শান্তনুবাবু অসত্য বলছেন এবং ভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছেন। তিনি বুঝতে পারছেন মতুয়া সমাজকে আর বেশিদিন বোকা বানিয়ে রাখা যাবে না। সেই দুশ্চিন্তায় আজগুবি কথা বলা তাঁর স্বাভাবিক।”
কংগ্রেসের দাবি, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর সামাজিক ন্যায় ও পিছিয়ে পড়া মানুষের অধিকারের আন্দোলন ইতিমধ্যেই মতুয়া সমাজসহ দেশের বঞ্চিত ও প্রান্তিক মানুষের মধ্যে নতুন আশা জাগিয়েছে। আর এ কারণেই আতঙ্কিত হয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছেন শান্তনু ঠাকুর।
শান্তনুর অভিযোগ, মতুয়া ভক্তরা নাকি জানতেন না তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন, তাঁদের “সৎসঙ্গ” বলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর জবাবে কংগ্রেস মুখপাত্র পাল্টা বলেন, “হাওড়া স্টেশনে তাঁদের হাতে রাহুল গান্ধীর ছবিওয়ালা ব্যানার ছিল। বনগাঁ স্টেশন থেকেই তারা ওই ব্যানার হাতে যাত্রা শুরু করেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও সেই ছবি প্রকাশ করেছে।”
কেতন জয়সোয়ালের বক্তব্য, এই যাত্রার আগেই মতুয়া সমাজের নেতৃত্ব কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাহুল গান্ধীর ‘ভোটাধিকার যাত্রায়’ অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। অধীর চৌধুরীর উদ্যোগে রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও মতুয়াদের সাক্ষাৎ হয় এবং সেখানে তাঁরা SIR-বিরোধী আন্দোলন ও জাতি ভিত্তিক জনগণনার সমর্থন জানান।
প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্রের অভিযোগ, “শান্তনুবাবুর যাবতীয় বক্তব্য ভিত্তিহীন। এতদিন মতুয়া সমাজকে রাজনীতির পণ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এখন তাঁরা প্রতারণার চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন।”তিনি আরও দাবি করেন, শান্তনু ঠাকুর যেন প্রকাশ্যে SIR প্রক্রিয়া নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং মতুয়া সমাজের ওপর এর প্রভাব নিয়ে আলোচনায় বসেন। পাশাপাশি, এতদিন বিজেপি ও তৃণমূলের রাজনীতির সঙ্গে থেকে মতুয়া সমাজের উন্নতি কতটা হয়েছে এবং শান্তনু নিজে কতটা সম্পদ অর্জন করেছেন তারও হিসাব জনসমক্ষে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।