রেকে ঢেকে নয়, একেবারে কলকাতার রাস্তায় দাঁড়িয়ে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। চরম অসন্তুষ্ট মেয়র। বিষয়টি তাঁর সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
কী অভিযোগ?
পুলিশের নাকের ডগায় কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত এলাকায় পুকুর ভরাটের কাজ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে সোমবার পথে নামেন কলকাতার মেয়র। মাঝেরহাট ব্রিজের কাছে তাঁর চোখে পড়ে আবর্জনা বোঝাই লরি। সঙ্গে সঙ্গে সেসব গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায় মেয়রকে। জানা গিয়েছে, ওই গাড়ির চালক জানিয়েছেন, আবর্জনা পুকুর ভরাটের কাজে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে অভিযোগ হাতেনাতে ধরে ফেলেন মেয়র। একটা নয়, একেবারে পাঁচ পাঁচটি গাড়ি।
ফিরহাদের নিশানায় পুলিশ
অভিযোগের প্রমাণ পেয়েই পুলিশকে নিশানা করেন মেয়র। ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'এইভাবে যদি আমাদের একা পলিউশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়, পুকুর বোজানোর বিরুদ্ধে এটা তো অসম্ভব। পুলিশ কমিশনারকে বলব- কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করুন। তা না হলে জয়াশয় বোজানোর রোগ আটকানো যাবে না।' তাঁর প্রশ্ন, 'সিএনডি প্লান্ট বসিয়েছি। কেউ বাড়ি ভাঙলে সেখানে আর্বজনা ফেলবে। তারপরেও এতগুলো আবর্জনার গাড়ি দক্ষিণ কলকাতার ভেতরে ঢুকছিল কী করে? গাড়িগুলো তো সব ১৫ বছরের পুরনো, অর্ধেকের নম্বরও নেই। কীভাবে চলছে? এভাবে চললে তো দূষণের বিরুদ্ধে একা লড়াই চালিয়ে যাওয়া যাবে না।'
মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ
গোটাটা ঘটনার নেপথ্যে একটা চক্র রয়েছে বলে মনে করছেন মেয়র। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও জানিয়ে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীকে নিশ্চযই বলব, তবে মুখ্যমন্ত্রীরও কিছু করার থাকবে না, যদি নীচুতলা সক্রিয় না হয়।'
আরও পড়ুন- তিনবার তলবেই ক্ষান্ত নয় সিআইডি, আরও অস্বস্তি বাড়ল বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর
আরও পড়ুন- ঘরের দোরে গিয়েও আটকে কয়েকশো টন পেঁয়াজ, ভারত মুখ ফেরাতেই কপাল চাপড়াচ্ছে বাংলাদেশ!