RG Kar Incident: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর প্রতিবাদে জোরালো আন্দোলন। পুলিশ-আন্দোলনকারীদের বচসার জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় আরজি কর হাসপাতালে। যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে যান চলাচল।
মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুতে ধুন্ধুমার আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সামনে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এসে উপস্থিত হয়। তাদের আরজি করে প্রবেশের সময়ই ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশ আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।আন্দোলনকারীদের হাসপাতালের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। এরপরই ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করে আন্দোলনকারীরা। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি, বচসা। টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের। রেহাই করা হয়নি মহিলাদেরও। মারতে মারতে চুলের মুঠি ধরে সরিয়ে দেওয়া হয়।
বামপন্থী ছাত্র সংগঠন-পুলিশের সংঘর্ষে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। হাসপাতাল চত্ত্বরে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। আরজি কর হাসপাতাল ছাড়াও শহরের একাধিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। জেলায় জেলায় প্রতিবাদে চিকিৎসক মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমেছেন চিকিৎসরা। বিক্ষোভ ঘিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, এই ঘটনায় ক্ষোভ স্বাভাবিক তবে পরিষেবা চালু রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন - < RG Kar Case: ‘কিছুই লুকনোর নেই, অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করব’, আরজি কর কাণ্ডে বললেন সিপি >
আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুতে রাজ্যজুড়ে সরকারি হাসপাতালে তীব্র বিক্ষোভ নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শহর কলকাতার পাশাপাশি জেলার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলিতে চলছে বিক্ষোভ। ডাক্তারদের তুমুল বিক্ষোভের জেরে শিকেয় উঠেছে চিকিৎসা পরিষেবা। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন,
“জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভ সঙ্গত। হাসপাতালে সুরক্ষা ব্যবস্থায় গাফিলতি ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হবে। যেই হোক তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে আমরাও শাস্তির আবেদন জানাব। রাজ্য সরকারের কোনও কিছু লুকানোর নেই। তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য এই ধরনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন আছে। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু নক্কারজনক। বলেছি কেসটাকে ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা দেখতে। জুনিয়র ডাক্তাররা দায়িত্ববান। তারা কখনও রোগীকে চিকিৎসা থেকে বিরত করে না। ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে এনে ফাঁসির আবেদন করা হোক। এই অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের বলব, রোগী পরিষেবা চালু করুন। এই ঘটনাটা ঘটেছে সেমিনার হলে। চারিদিকে সিসিটিভি আছে। যাকে ধরা হয়েছে তার ওখানে যাতায়াত ছিল। চাইলে অন্য এজেন্সি দিয়ে তদন্ত হোক। Cbi তদন্তে আপত্তি নেই।”