DYFI Brigade: নিজের ভাষণের শেষে কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার উদ্ধৃতি করতে যান ডিওয়াইএফআই নেত্রী। 'আমি মহাবিদ্রোহী রণক্লান্ত, আমি সেই দিন হব শান্ত/ যেদিন অত্যাচারিতের খড়গ কৃপাণ'… এই অবধি বলেই অকপটে মীনাক্ষী বলে ফেললেন ‘ভুলে গিয়েছি’। তারপর ফের ধরলেন। বললেন, ‘এই রণভূমে রণিবে না, আমি সেই দিন হব শান্ত, বিদ্রোহী রণক্লান্ত!’
Minakshi Mukherjee DYFI Brigade: নিজদের ভাষণে সোজাসাপটা দক্ষিণপন্থীদের বিরুদ্ধে কটাক্ষবাণ ছুড়লেন 'ক্যাপটেন' মীনাক্ষী। বলেন, 'যে মাঠে খেলা হবে বলেছিল, সেই মাঠের দখল নিতে এসেছি। কারোর বাবার ক্ষমতা নেই মাঠের দখল আমাদের থেকে কেড়ে নেবে। বামপন্থীরা রক্তবীজের জাত। বামপন্থীরা রক্তবীজের জাত, লড়ে যাবে-লড়ে যাবে।' 'ক্যাপটেনে'র কথা শুনে তখন মাঠ জুড়ে হাততালি। উদ্দীপ্ত বাম যুবরা। এতটা ঠিকই ছিল, কিন্তু তাল কাটল মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্যের শেষে।
Advertisment
নিজের ভাষণের শেষে কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার উদ্ধৃতি করতে যান ডিওয়াইএফআই নেত্রী। 'আমি মহাবিদ্রোহী রণক্লান্ত, আমি সেই দিন হব শান্ত/ যেদিন অত্যাচারিতের খড়গ কৃপাণ'… এই অবধি বলেই অকপটে মীনাক্ষী বলে ফেললেন ‘ভুলে গিয়েছি’। তারপর ফের ধরলেন। বললেন, ‘এই রণভূমে রণিবে না, আমি সেই দিন হব শান্ত, বিদ্রোহী রণক্লান্ত!’
ততক্ষণে ব্রিগেডে শুরু হয়েছে ফিসফাস। একে অপরের দিকে মুখ চাওয়াচায়ি চলছে। মীনাক্ষীর পরেই মঞ্চে ওঠেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ওঠামাত্রই দক্ষিণপন্থা আর বামপন্থার তফাৎ বোঝাতে গিয়ে চড়া আক্রমণ শানালেন মোদী-মমতাতে। ড্যামেজ কন্ট্রোলে ব্যাট ধরলেন 'ক্যাপটেন' মীনাক্ষীর হয়ে। বাংপন্থার সঙ্গে দক্ষিণপন্থার পার্থক্য বোঝানোরও চেষ্টা করলেন।
সেলিম বলেন, 'অনেকে বলে বামপন্থার সঙ্গে দক্ষিণপন্থার তফাৎ কী? খুব সহজ। কমরেড মীনাক্ষী আপনার সামনে বর্ক্তৃতা করছিল। বলতে বলতে উত্তেজনায় কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা থেকে উদ্ধৃতি দিতে গিয়ে বলল ভুলে গিয়েছি। আচ্ছা এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় হলে বলতে পারত ভুলে গিয়েছি! মোদী কখনও বলতে পারে জনসমক্ষে ভুলে গিয়েছি, ভুল বলেছি! কোনও স্বৈরতন্ত্রী, কোনও ফ্যাসিস্ট কখনও ভুল স্বীকার করে না। বামপন্থীরা পারে। কারণ, তাঁরা সত্যের পথে থাকে। ওসব ভুজংভাজুং দিয়ে চলে না।'