নীরব মোদি কাণ্ডে কলকাতার নেতাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দীপক কুলকার্নি নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তাঁকে গ্রেপ্তার করেন ইডি আধিকারিকরা। তারপর তাঁকে নিয়ে আসা হয় সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দপ্তরে। কুলকার্নি কর্মসূত্রে জড়িত এমন এক সংস্থার সঙ্গে, যার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে পলাতক গহনা ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির।
চোকসির বিদেশে অবস্থিত বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কুলকার্নির নামে এর আগে লুক আউট সার্কুলার জারি করে ইডি। এক আধিকারিকের কথায়, হংকংয়ে চোকসির একটি "ভুয়ো" সংস্থায় ডিরেক্টর ছিলেন কুলকার্নি। আরও জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে চোকসির বিরুদ্ধে দায়ের করা চার্জশিটে নামোল্লেখ রয়েছে চোকসির, এবং মুম্বইয়ের একটি আদালত তাঁর নামে জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্টও জারি করে।
আরও পড়ুন: মেহুলের থেকে টাকা নিয়েছিলেন জেটলির মেয়ে-জামাই, বিস্ফোরক রাহুল
জানা গিয়েছে, ইডি গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল যে হংকং থেকে কলকাতায় ফিরবেন কুলকার্নি, সেই মত আগে থেকেই ওত পেতে ছিলেন ইডির আধিকারিকরা। ওই ব্যবসায়ীকে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা PMLA-র আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। মুম্বই ইডির আধিকারিকরা মঙ্গলবার কলকাতায় চলে আসবেন, কুলকার্নিকে রিমান্ডে মুম্বাই নিয়ে যেতে।
উল্লেখ্য, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপি কেলেঙ্কারিতে প্রধান অভিযুক্ত নীরব মোদি। তার আত্মীয় মেহুল চোকসিও অভিযুক্ত ওই তছরূপে। আপাতত দুজনেই পলাতক, এবং দুজনকেই বিদেশ থেকে ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে তৎপর রয়েছে সিবিআই ও ইডি। জানা গিয়েছে, এই মামলায় ইতিমধ্যে প্রায় ৪,৭০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। কুলকার্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলায় নতুন তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছে ইডি। যা পিএনবি আর্থিক কেলেঙ্কারি তদন্তে গতি আনতে সাহায্য করবে।