বাবার পাশে বসে মোবাইলে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাচ্ছিলেন। আচমকাই চিৎকার করেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন হীরকজ্যোতি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রয়াত যুবক হীরকজ্যোতি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কোচবিহার জেলার সীমান্ত লাগোয়া মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারীর ছেলে। আচমকা বিধায়ক-পুত্রের অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে গোটা মেখলিগঞ্জ শহরজুড়ে।
Advertisment
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ একঘরে বসেই গল্প করার পাশাপাশি মোবাইলে বিজয়ার শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী ও তাঁর একমাত্র পুত্র হীরকজ্যোতি অধিকারী (৩০)। আচমকা চিৎকার করেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন হীরকজ্যোতি। হীরকজ্যোতিকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বাবা ও মায়ের মাঝে হীরকজ্যোতি অধিকারী।
মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের সুপার তাপস কুমার দাস জানান, কার্ডিয়াক রেসপিরেটরি ফেলিওর ও ক্রনিক কিডনি ডিজিসে মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, ছেলের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারী। তিনি বলেন, "দু'জনে গল্প করছিলাম। আচমকাই সব শেষ হয়ে গেল। ছেলেটা চিকিৎসার সময়টুকুও দিল না।"
প্রয়াত হীরকজ্যোতি পেশায় চিকিৎসক। তিনি কুচলিবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি কোচবিহার জেলা তৃণমূল যুব’র সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। রেড ক্রস সোসাইটির মেখলিগঞ্জ মহকুমার সম্পাদকও তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরতেই মেখলিগঞ্জ হাসপাতাল চত্বরে ভিড় জমান বহু মানুষ। এই ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা মেখলিগঞ্জ শহর।