আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার মাঝরাতে ইডির সিজিও কমপ্লেক্সের দফতরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর। তাঁর আইনজীবীর দাবি, মেনকাকে টুয়েলভ থার্টি AM-এ তলব করেছিল ইডি। নির্ধারিত সময়ের মিনিট দশেক আগেই ইডির দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন মেনকা গম্ভীর। কিন্তু দফতরে গিয়ে ইডির অফিসারদেরই দেখা পাননি তিনি। শেষমেশ রাতেই ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে সোজা বাড়ি চলে যান তিনি। AM-PM-এর গেরোতেই হাজিরায় এই জটিলতা তৈরি হয় বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে মেনকা গম্ভীরের বিদেশ যাত্রায় বাধা দেয় ইডি। শনিবার রাতে ব্যাঙ্কক যাওযার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছেলন মেনকা গম্ভীর। কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছতেই তাঁকে দীর্ঘক্ষণ একটি ঘরে বসিয়ে রেখেছিলেন অভিবাসন দফতরের কর্মীরা। দ্রুত তাঁরা দিল্লিতে ইডির সদর দফতরের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
আরও পড়ুন- ভক্তদের কামনা পূরণ করেন সিঙ্গুরের জাগ্রত ডাকাতকালী, সারদামণির নামও এই পুজোয় জড়িয়ে
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের নামে আগেই লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছিল। সেই নোটিস দেশের সব বিমানবন্দরেই পাঠানো হয়েছিল। শনিবার রাত আটটার কিছু আগে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে যান অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা। বিমানবন্দরে পৌঁছতেই তাঁকে আটকান অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা।
এরপর কয়লাকাণ্ডে বিমানবন্দরেই মেনকাকে তলবি নোটিস ধরায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মেনকার আইনজীবীর দাবি, রবিবার টুয়েলভ থার্টি AM-এ মেনকাকে তলব করেছিল ইডি। সেই মতো আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার রাত ১২টার কিছু পরেই সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে পৌঁছে গিয়েছেলন তিনি। যদিও ইডির অফিসাররা না থাকায় তাঁর সঙ্গে কারও দেখা হয়নি। নতুন করে কয়লাকাণ্ডে ফের তাঁকে তলব করা হয় কিনা নজর সেদিকেই।