Midnapore Medical College Saline Controversy report submitted at swastha bhavan: বিষাক্ত স্যালাইনের সঙ্গে অক্সিটোসিনে হাই ডোজ, তারই জেরে প্রসূতি মৃত্যু এবং পরপর অসুস্থতা? অন্তত খোদ স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষজ্ঞ দলের পেশ করা রিপোর্টেই চাঞ্চল্যকর এই তথ্য জমা পড়েছে বলে দাবি সংবাদ মাধ্যম সূত্রের। সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের (Midnapore Medical College) ঘটনায় স্বাস্থ্য দপ্তরের তদন্তকারী দলের একটি রিপোর্ট জমা করেছে স্বাস্থ্য ভবনে। সেই রিপোর্টেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে বলে দাবি।
বিষাক্ত স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য মহলে। মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রসূতিদের। তারই জেরে বেশ কয়েকজন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং একজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয় বলে অভিযোগ ওঠে। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয় স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষজ্ঞ দলকে।
সেই দলের বিশেষজ্ঞরাই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে গিয়ে বিস্তারিতভাবে তথ্য সংগ্রহ করেন। এরপরেই স্বাস্থ্য ভবনে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে ওই দলটি। সেই রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়েছে, অক্সিটোসিনের হাইডোজের ব্যবহারের জেরেই প্রসূতিদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই পাঁচ রোগীকে অক্সিটোসিনের হাই ডোজ দেওয়া হয়েছিল বলে রিপোর্ট উল্লেখ। এই হাই ডোজের অক্সিটোসিনের ব্যবহারের জেরেই প্রসূতিদের রক্তচাপ কমে যায় বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। এরই পাশাপাশি রিঙ্গার ল্যাকটেড স্যালাইনেও গলদ ছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- Malda Shootout: বাবলা খুনের আবহেই ফের শুটআউট মালদায়, নিহত তৃণমূল কর্মী, আহত অঞ্চল সভাপতি-সহ কয়েক জন
উল্লেখ্য, প্রসবের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত রুখতেই সাধারণত অক্সিটোসিন দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। রক্তপাত বন্ধের জন্য অক্সিটোসিন (Oxytocin) দেওয়া যেতে পারে। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখেছেন মেদিনীপুর মেডিকেলে সব প্রসূতিরই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের মতো সমস্যা হয়নি। কিন্তু তবুও প্রোটোকল না মেনেই তাঁদের হাই ডোজের অক্সিটোসিন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- Local Trains Cancel: ৯৫ বছরের প্রাচীন ব্রিজের মেরামতির কাজ, ৪ দিন বন্ধ থাকবে শিয়ালদহ-ডানকুনি লাইনে ট্রেন চলাচল
মেদিনীপুর মেডিকেলে সন্তান প্রসবের পরেই এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। আরও তিন প্রসূতি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কলকাতার SSKM হাসপাতালে ভর্তি থাকা ওই তিন প্রসূতির শারীরিক অবস্থা এখনও সংকটজনক। তবে ওই তিনজনের চিকিৎসায় রীতিমতো তৎপর SSKM হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেডিকেল টিম গঠন করে তিনজনের শারীরিক পরিস্থিতির দিকে ২৪ ঘন্টা নজরদারি চালানো হচ্ছে।