শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের পুরো ভাড়া বহন করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দুপুরেই টুইট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিনরাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়া, পর্যটক, তীর্থযাত্রী, যাঁরাই দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন তাঁরাই ফিরতে পারবেন এই ১০৫টি ট্রেনে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের নিজেদের খরচ করে রেলের টিকিট কাটতে হবে না। এরপর শনিবার নবান্নে স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "নানাভাবে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া এ রাজ্যের ১৭ লক্ষ মানুষের ডেটাবেস রাজ্য সরকারের হাতে রয়েছে। এ ছাড়া ২ লক্ষ ৯১ হাজার ৩৯৫ জন নিজেদের উদ্যোগে ফেরার অনুমতি চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। তাঁদের অনেকেই ওই ১৭ লক্ষের মধ্যে আছেন। বাংলা থেকে নোডাল অফিসাররা ওইসব রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যাঁদের নাম নথিভুক্ত রয়েছে তাঁদের ট্রেনে তোলা হবে। ইতিমধ্যেই ২টি শ্রমিক স্পেশ্যাল এসে গিয়েছে, আজ আরও দুটি ও আগামিকাল একটি আসবে।" কোন রাজ্যে থেকে কতগুলি ট্রেন আসছে এদিন তার হিসেবও দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব। বাংলার উদ্দেশে রওনা দেবে মহারাষ্ট্র থেকে ১৮টি, পাঞ্জাবের ২টি, তামিলনাড়ুর ১০টি, তেলেঙ্গানার ৫টি, অন্ধ্রের ৩টি, হরিয়ানার ৬টি, গুজরাটের ৫টি, কর্নাটকের ৫টি, কেরালার ২৮টি, উত্তরপ্রদেশের ৭টি, উত্তরাখণ্ডের ১টি, দিল্লির ৬টি, মধ্যপ্রদেশের ১টি, হিমাচলপ্রদেশের ১টি, জম্মুকাশ্মীরের ১টি এবং রাজস্থানের ৬টি ট্রেন।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে এ রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গিয়েছেন ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৯১৫ জন। এন্ট্রি পাসের আবেদন করে ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছেন ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৯২ জন। তবে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লির মতো যেখানে সংক্রমণ বেশি সেখান থেকে যাঁরা নিজেরাই গাড়ি করে আসছেন সীমান্তে তাঁদের মেডিক্যাল পরীক্ষা হচ্ছে। যদিও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা থাকায় সেই ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণও করা হচ্ছে।এদিকে আরও জানানো হয়েছে, ১৮ মে বাংলাদেশ থেকে বিমানে দমদম ফিরছেন ১৬০ জন। বিদেশ থেকে আসা এই মানুষদের বিমানে করে বাংলায় ফেরানো নিয়ে আলাপনবাবু বলেন, "আমরা আগেই জানিয়েছি এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার অনেক আগে থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এমনকী বিদেশ থেকে ফেরা মানুষজনের জন্য কোয়ারেন্টিনের সবরকম ব্যবস্থার কথা কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। যাঁরা রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় থাকবেন, তাঁদের বাসের ব্যবস্থা রাজ্যই করবে। নিজেদের খরচেও নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় তাঁরা থাকতে পারবেন। বিদেশ ফিরতি ১৬০ জন যাত্রী নিয়ে প্রথম বিমানটি কলকাতায় আসছে ১৮ মে। এরপর আরও বিমান আসবে।"