একমাত্র রাজ্যের বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিকরাই একশ দিনের কাজের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। জানালেন, রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
দেশজুড়ে লকডাউনে হাহাকার। বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। কাজ হারিয়ে দুর্বিসহ অবস্থায় শ্রমিকরা। এই পরিস্থিতিতে গরীব মানুষের হাতে অর্থ পৌঁছে দিতে লকডাউনে ১০০ দিনের কাজকে ছাড়ের আওতায় রেখেছে কেন্দ্র। আগামী সোমবার থেকে শুরু হবে একশ দিনের কাজ। গত বুধবার কেন্দ্রীয় এই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন- করোনা চিকিৎসকরাই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানবেন, প্রশ্ন নাইসেড-কলকাতার প্রধানের
লকডাউন পরিস্থিতিতে একশ দিনের কাজের চাহিদা চরমে পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যে আটক পরিয়ায়ীদের মধ্যে কাজের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু, পরিয়ায়ী শ্রমিকরা কী একশ দিনের কাজের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন? মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের কথায় পরিয়ায়ী শ্রমিকদের কাজের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলো স্থির করবে। তিনি বলেন, 'এই প্রকল্পে পরিয়ায়ীদের কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে। নিয়ম অনুসারে, স্থানীয়রাই কাজ পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হন। তবুও আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি পঞ্চায়েতের উপরই ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু, এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে ররাজ্য়ের বাসিন্দা হতে হবে।'
আরও পড়ুন- যে যতোই লাটসাহেব হোক, সীমান্ত থেকে কাউকে ঢোকানো যাবে না: মমতা
রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে। বড় সংখ্যক শ্রমিক মনরেগার কাজে যুক্ত হবেন। কাজ চালু করার জন্য ইতিমধ্যেই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মেনে শ্রমিকদের মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব মেনেই কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
শ্রমিকরাও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে জব কার্ডধারীর সংখ্যা ১.২৫ কোটি। এর মধ্যে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলায় ৮১ লাখ শ্রমিক একশ দিনের কাজে সক্রিয়। মনরেগায় প্রায় ৬১ লক্ষ পরিবার উপকৃত। রাজ্য সরকারের আধিকারীকের কথায়, 'কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মেনে যাতে শ্রমিকরা মাস্ক পড়ে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করে তা নজরদারি করতে বলা হয়েছে।'
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন