লকডাউনে নিঃস্ব হয়ে ১০০ দিনের কাজই ভরসা, মজুরি জমিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তহবিল ভরালেন পরিযায়ী শ্রমিকরা

প্রথম ৭ দিন তাঁদের প্রত্যেকে ১ টাকা করে জমান। সেই টাকাই শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে জমা পড়ে।

প্রথম ৭ দিন তাঁদের প্রত্যেকে ১ টাকা করে জমান। সেই টাকাই শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে জমা পড়ে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

লকডাউনে কাজ হারিয়ে মাথায় হাত পড়েছিল দেশের লক্ষাধিক পরিযায়ী শ্রমিক। এ রাজ্যে অবশ্য  তাঁদের সহায় হয়েছিল একশো দিনের কাজের প্রকল্প। সেখান থেকে পাওয়া টাকা জমিয়েই এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করোনা ত্রাণ তহবিলে দান করলেন সাধারণ মানুষ। চন্দ্রকোনার বিধায়ক ছায়া দলুইয়ের হাতে মোট ৯০ হাজার ৮০৬ টাকার চেক তুলে দিয়েছেন তাঁরা। এই দান মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতার দান। এমনটাই জানান পরিযায়ী শ্রমিকরা।

Advertisment

জানা গিয়েছে, শনিবার চন্দ্রকোনার ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ওই টাকা তুলে দেওয়া হয়। তাতে শ্রমজীবী মানুষের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যায় পঞ্চায়েত প্রধান ইসমাইল খাঁ-কে।

ওই পঞ্চায়েতের অধীনস্থ ১৫টি সংসদের একাধিক পরিযায়ী শ্রমিক-সহ মোট ১২ থেকে ১৩ হাজার শ্রমিক। প্রথম ৭ দিন তাঁদের প্রত্যেকে ১ টাকা করে জমান। সেই টাকাই শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে জমা পড়ে।

ইসমাইল খান বলেছেন, ‘‘১ টাকার কয়েন জমিয়েই এত টাকা জমা হয়েছে। এত কয়েন ব্যাঙ্কেও জমা দেওয়া যাচ্ছিল না। শেষে স্থানীয় একটি দোকানে কিছু কয়েন দিয়ে নোট নেওয়া হয়। ৯ হাজার টাকার কয়েন জমা নিয়ে তার পরিবর্তে নোট দিয়েছে ব্যাঙ্ক। তার পর ৯০ হাজার ৮০৬ টাকা জমা করে চেক তৈরি করা হয়।’’

Advertisment

মজুরির টাকা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে দান করার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন শাসকদলের বিধায়ক থেকে ব্লক প্রশাসনের কর্মীরা। চন্দ্রকোনার বিধায়ক ছায়া বলেন, ‘‘খুব শীঘ্র মুখ্যমন্ত্রীর করোনা তহবিলে ওই টাকা জমা পড়বে।’’

Migrant labourer