চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিলেন পরিযায়ী শ্রমিক। একইসঙ্গে ট্রেনের চেন টেনে নেমে পড়লেন আরও সাত পরিযায়ী শ্রমিক। এ ঘটনা ঘটেছে বাংলাতেই। শনিবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বেলাকোবা এলাকায় হায়দরাবাদ-অসমগামী শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন থেকে ৮ পরিযায়ী নেমে পড়েন। জানা যাচ্ছে, গন্তব্য়স্থলে ট্রেন না থামায় বাধ্য় হয়েই এমন কাণ্ড করতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা।
ঠিক কী ঘটেছে?
জানা যাচ্ছে, শনিবার বিকেলে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বেলাকোবা এলাকায় হায়দরাবাদ-অসমগামী শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন থেকে ৮ পরিযায়ী নেমে পড়েন। এক পরিযায়ী শ্রমিক প্রথমে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন। তাঁর দেখাদেখি আরও ৭ পরিযায়ী ট্রেনের চেন টেনে নেমে পড়েন। এই ৮ শ্রমিকের মধ্যে ৬ জন পাঞ্জিপাড়া এলাকার ও বাকি দু'জন আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: আমফানে লন্ডভন্ড বাংলা, ২৬ মে পর্যন্ত শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন বন্ধের আর্জি মমতার
(ভিডিও- সৌমিত্র সান্য়াল)
পাঞ্জিপাড়ার বাসিন্দা এক পরিযায়ী শ্রমিক জানান, ''আমরা আট জন পুজোর সময় হায়দরাবাদে কাজ করতে যাই। এখন লকডাউনের ফলে কাজ বন্ধ। ট্রেনে করে আমরা রওনা দিই। কিন্তু পাঞ্জিপাড়ায় ট্রেন দাঁড়ায়নি। এরপর এনজেপি-তে ট্রেন দাঁড়ালে আমাদের নামতে দেওয়া হয়নি। এরপর ট্রেন ছাড়ে। তখন শুনতে পাই এই ট্রেন অসমে যাবে। অসমে গেলে আমরা ফিরবো কীভাবে? তাই তখন আমাদের মধ্যে একজন ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেয়। তাকে বাঁচাতে আমরা ট্রেনের চেন টেনে নেমে পড়ি। আমাদের গ্রামবাসীরা আটকে দেয়। আমরা এখন বাড়ি ফিরতে চাই''
আরও পড়ুন: আগামী ১০ দিনে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে চড়বেন ৩৬ লাখ পরিযায়ী: রেল
বেলাকোবার হাসুয়াপাড়া এলাকায় বাসিন্দা মিন্টু রায় জানান, আচমকা ট্রেন থামার শব্দ পেয়ে তিনি লক্ষ্য় করেন ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামছেন কয়েকজন। এরপর তাঁরা এসে ওই পরিযায়ীদের আটকান। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও আরপিএফ-কে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে আরপিএফ।
জলপাইগুড়ি আরপিএফ-এর এক আধিকারিক সুনিল কুমার পাসোয়ান জানান, ওই পরিযায়ীদের আটক করে থার্মাল স্কিনিং করার পর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে বেলাকোবা ফাঁড়ির পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন