Anupam Hazra On Mimi Chakraborty: যাদবপুরের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় গিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে নিজের ইস্তফাপত্র দিয়েছেন তিনি। স্পষ্ট দাবি করেছেন যে, 'রাজনীতি আমার জন্য নয়। আর লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই না।'
Advertisment
বিগত পাঁচ বছরে এমনকী হল যে তিনি আর প্রার্থী হতে চাইছেন না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মিমি চক্রবর্তী বলেন, 'রাজনীতি করলে আমার মতো মানুষকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় লোকে। মিমি চক্রবর্তী যদি খারাপ কিছু করত, সবার আগে শিরোনামে উঠে আসত। আমি জেনে জীবনে কারও কোনও ক্ষতি করি। আমি রাজনীতিক নই। কখনও রাজনীতিক হবও না। সবসময় আমি মানুষের জন্য কর্মী হিসাবে কাজ করতে চেয়েছি। আমি অন্য দলের কারও বিরুদ্ধেও কখনও খারাপ কথা বলিনি।'
কিন্তু মিমি-র এই পদক্ষেপের নেপথ্যে অন্য গন্ধ পেয়েছেন বিজেপি নেতা তথা যাদবপুর কেন্দ্রে ২০১৯ সালের ভোট মিমির প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা! তাঁর মতে, হাতকড়া না পড়ার ভয়েই সাংসদ পদ থেকে আগবাড়িয়ে ইস্তফা দিতে আগ্রহী যাদবপুরের সাংসদ।
কী বলেছেন অনুপম?
Advertisment
শুক্রবার সোশাল মিডিয়া পোস্টে অনুপম হাজরা লেখেন, "এক সময়ে আমাকে 'মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ' বলে কটাক্ষ করা… নির্বাচনী প্রচারের সময় হাতে গ্লাভস পড়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে হাত মেলানো যাদবপুরের সাংসদকে নিজের মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে হল…।।। যাতে অন্তত হ্যান্ডগ্লাভসের জায়গায় হ্যান্ডকাফ না পড়তে হয় সেই ভয়েই নাকি?"
অনুপম হাজরার ফেসবুক পোস্ট
কিন্তু কী এমন দোষে অভিযুক্ত তারকা সাংসদ মিমি? তা নিয়ে অবশ্য কিছু স্পষ্ট করেননি অনুপম হাজরা।
এদিকে নিজের সাংসদ খাতের টাকা কোথায় কতটা খরচ করেছেন, কী ভাবে কাজ করেছেন, এদিন সোশাল মিডিয়ায় সেই খতিয়ান প্রকাশ করেছেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। দেখিয়েছেন, সাংসদ হিসাবে ২০১৯ সাল থেকে তিনি ১৭ কোটি টাকার বেশি কাজ করেছেন। কোন এলাকায় কত টাকা খরচ হয়েছে, দিয়েছেন তার তালিকা। লিখেছেন, 'বিগত পাঁচ বছর আমি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সাংসদ হিসাবে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছি। মানুষের করের টাকা সঠিক ভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। সৎপথে মাথা উঁচু করে এগিয়েছি। সেই সফরের কথা মনে করে আমার মারাত্মক আত্মতুষ্টি হয়। তাই বিগত পাঁচ বছরের সাংসদ রূপে আমার যাবতীয় কাজের খতিয়ান জনসমক্ষে তুলে ধরলাম। আগামী দিনে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, আমার কাজের মাধ্যমে নিশ্চিতরূপে মানুষের হৃদয়ে থেকে যাব।'