Advertisment

Mimi Chakraborty: 'দিদি'র কাছে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা মিমি-র! কী করলেন মমতা?

TMC MP Mimi Chakraborty: গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠান মিমি। চিঠি জুড়ে নাকি ছিল শুধু ক্ষোভের আগুন। চিঠিতে মিমি জানিয়েছেন রীতিমতো মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন তিনি। কখনও মঞ্চে, কখনও ফোনে, কখনও অন্যভাবে তাঁকে অপমান সহ্য করতে হয়েছে বলেও দাবি করেছেন মিমি। শুধু অপমান নয়, উপেক্ষাও নাকি সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Mimi Chakrabortys resignation from jadavpur MP post to Mamata Banerjee in Assembly , বিধানসভায় গিয়ে সাংসদ পদ থেকে মমতার কাছে ইস্তফা মিমি চক্রবর্তীর

বিধানসভায় মিমি চক্রবর্তী। এক্সপ্রেস ফটো

Resignation of Mimi Chakraborty: যাদবপুরের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মিমি চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে সাংসদ পদ ছাড়ার কথা জানান খোদ মিমি। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যা ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ। মিমি বলেন, 'আমার যা বলার ছিল, দিদিকে বলেছি। অনেকে বলছিলেন, আমি পরবর্তী টিকিট পাকা করার জন্য এটা করছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি আমার জন্য নয়। আর লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই না।'

Advertisment

২০১৯ সালে রেকর্ড ভোটের ব্যবধানে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে জয়. পেয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। তাহলে পাঁচ বছরে এমনকী হল যে তিনি আর প্রার্থী হতে চাইছেন না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মিমি বলেন, 'রাজনীতি করলে আমার মতো মানুষকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় লোকে। মিমি চক্রবর্তী যদি খারাপ কিছু করত, সবার আগে শিরোনামে উঠে আসত। আমি জেনে জীবনে কারও কোনও ক্ষতি করি। আমি রাজনীতিক নই। কখনও রাজনীতিক হবও না। সবসময় আমি মানুষের জন্য কর্মী হিসাবে কাজ করতে চেয়েছি। আমি অন্য দলের কারও বিরুদ্ধেও কখনও খারাপ কথা বলিনি।'

আরও পড়ুন- Mamata Banerjee on Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে মমতার টার্গেট ED-BJP, কীভাবে যোগ RSS-এর? বিধানসভায় বললেন মুখ্যমন্ত্রী

স্পিকারের কাছে ইস্তফা না দিয়ে সুপ্রিমোর কাছে কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মিমি বলেন, 'দল আমাকে প্রার্থী করেছে, তাই আমি দলের সুপ্রিমোকেই আগে জানিয়েছি। উনি অ্যাকসেপ্ট করলে আমি লোকসভার স্পিকারকে পাঠিয়ে দেব।'

মিমির দাবি, ২০২২ সালে তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন। তিনি তখন মমতা তাঁকে পদ ছাড়ার অনুমতি দেননি।

সূত্রের খবর, এদিনও দলের সাংসদের ইস্তফা গ্রহণ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, মিমি চক্রবর্তীর কথায়, 'মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা গ্রহণ করলে লোকসভার স্পিকারের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র দিয়ে আসব।'

আরও পড়ুন- Mukul Roy: ইডি-র তলব মুকুলকে! কী জানালেন ছেলে শুভ্রাংশু?

অতি সম্প্রতি সংসদের দু'টি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। সংসদের শিল্পবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ছিলেন কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক এবং নবীন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রকের যৌথ কমিটির সদস্যও। এরপরই জানা যায়, যাদবপুর লোকসভার অধীন নলমুড়ি এবং জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন পদও ছেড়েছেন মিমি। তারপর থেকেই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ২০২৪ সালে যাদবপুর থেকে আর কি প্রার্থী হবেন মিমি? বৃহস্পতিবার ইস্তফা দিয়ে সেই জল্পনারই অবসান ঘটালেন মিমি।

তাহলে কী তৃণমূলের তারকা সাংসদদের দল নিয়ে 'ক্ষোভ' বাড়ছে?

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠান মিমি। চিঠি জুড়ে নাকি ছিল শুধু ক্ষোভের আগুন। চিঠিতে মিমি জানিয়েছেন রীতিমতো মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন তিনি। কখনও মঞ্চে, কখনও ফোনে, কখনও অন্যভাবে তাঁকে অপমান সহ্য করতে হয়েছে বলেও দাবি করেছেন মিমি। শুধু অপমান নয়, উপেক্ষাও নাকি সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। সেই যন্ত্রণার কথা বলে শেষ করতে পারবেন না, এমনটাও দাবি করা হয়েছে চিঠিতে। করোনা পরিস্থিতি যাদবপুর কেন্দ্রে কী কী কাজ করেছেন, সেই বর্ণনাও চিঠিতে দিয়েছিলেন মিমি। জানা যায়, এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমো তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে তাঁকে বিধানসভায় ডেকে পাঠান তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Mamata Banerjee tmc Mimi Chakraborty
Advertisment