Tornado: একে অবিরাম বৃষ্টিতে রক্ষে নেই, টর্নেডো তার দোসর। সোমবার দু’মিনিট স্থায়িত্বের মিনি টর্নেডোর প্রভাবে লন্ডভন্ড সাগরদ্বীপ এলাকা। স্থলভাগে তৈরি হওয়া এই টর্নেডোর জেরে ভেঙেছে পঞ্চায়েত সমিতির অতিথি আবাস, কয়েকটি অস্থায়ী দোকান এবং ছিঁড়েছে বিদ্যুতের তার। তবে, এই বিপর্যয়ে কোনও হতাহতের খবর নেই। অক্ষত আছে কপিল মুনির আশ্রম। দুর্যোগের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। অতিথি আবাসে আটকে থাকা কয়েকজন পর্যটককে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, যে এলাকায় টর্নেডো ক্ষণিকের জন্য স্থায়ী হয়েছিল সেখান থেকে কিছু দূরেই কপিল মুনির আশ্রম। কিন্তু সেই টর্নেডোর স্থায়িত্ব কম হওয়ায় আশ্রম অবধি পৌঁছতে পারেনি বিপর্যয়য়। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় ১০ ফুট ব্যাসার্ধ নিয়ে স্থলভাগেই দাপিয়ে বেড়ায় এই টর্নেডো। এদিকে, ইয়াস পরবর্তী পর্যায়ে সাগরদ্বীপে জলভাগে টর্নেডো হানা দিয়েছিল। বিশাল প্রভাব নিয়ে সেই টর্নেডো স্থলভাগের দিকে এগোতে থাকায় উপকূলে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু স্থলভাগে প্রবেশের আগেই ক্ষমতা হারায় সেই দুর্যোগ।
এদিন সেই অভিজ্ঞতাই ফের একবার সাগরদ্বীপকে ফিরিয়ে দিল দুই মিনিটের মিনি টর্নেডো।
নাগাড়ে বৃষ্টি পড়ে চলেছে। জল থৈ-থৈ কলকাতা। এর মধ্যেই শহরের সব লকগেট বন্ধ করে দেওয়া হল। টানা বৃষ্টি ও পূর্ণিমার জেরে গঙ্গার জলস্তর বেড়েছে। এসেছে জোয়ারও। ফলে শহরে যাতে গঙ্গার জল ঢুকতে না পারে তার জন্যই লকগেটগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে কলকাতা পুরনিগমের তরফে জানানো হয়।
এর জেরে কলকাতাবাসীর জমা জলের যন্ত্রণা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। কারণ, একদিকে বৃষ্টি হয়ে চলেছে। বাড়ছে জমা জলের পরিমাণ। কিন্তু লকগেট বন্ধ থাকায় তা বেরিয়ে যেতে পারবে না। বিকেল ৩টে পর্যন্ত কলকাতার সব লকগেট বন্ধ থাকবে। তারপর শহরের জমা জল পাম্পের মাধ্যেম দ্রুত বের করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কলকাতা পুরনিগম।
কলকাতা পুরনিগমের পুরপ্রশাসক তারক সিংয়ের কথায়, “টানা বৃষ্টি হবে বলেই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। কলকাতায় একাধিক জায়গায় জল জমে রয়েছে। কিন্তু, লকগেট বন্ধ না করলে জোয়ারের জল শহরের ঢুকে যেতে পারে। ফলে আরও ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে। তাই লকগেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হল। তিনটের পর সেগুলি খোলা হবে। পাম্প দিয়ে বিকেল থেকে কলকাতার জমা দল বের করে দেওয়া হবে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন