দলকে চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় ফেলেও শেষমেশ পিছু হঠলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। ''মিমি, নসুরতরা লুটেপুটে খাচ্ছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সিদের বেঝাতে চেয়েছি, বুঝতে চাননি।'' সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও-য় এমনই বলতে শোনা গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোকে। দলকে অস্বস্তিতে ফেলে মন্ত্রীর এই বক্তব্যে বেজায় চটেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শোকজ করা হয়েছে বিধায়ককে।
এবার রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর বক্তৃতার একটি ভিডিও ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও-য় তিনি বলেছেন, ''জুন মালিয়া, সায়নী, সায়ন্তিকা, মিমি, নুসরতরা লুটেপুটে খাচ্ছে। এরাই যদি দলের সম্পদ হয় তবে আর এই দল করা যাবে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সিদের বোঝাতে চেয়েছিলাম, ওরা বুঝতে চাননি।''
আরও পড়ুন- বিরোধীদের জুতোপেটা করার হুমকি সৌগত রায়ের, নজিরবিহীন কটাক্ষ দিলীপকেও
খোদ দলেরই তিন বারের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে বেজায় অস্বসিতে পড়ে যায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শেষমেশ দলের নির্দেশে শোকজ করা হয়েছে শ্রীকান্ত মাহাতোকে।
এপ্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিটেনর অজিত মাইতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ''মন্ত্রীকে দলের নির্দেশে শোকজ করা হয়েছে। উনি আজ জবাবও পাঠিয়েছেন, সেটাও দলকে পাঠিয়ে দেব। আমাদের দলে মন্ত্রী, কাউন্সিলর, ব্লক সভাপতি, বুথ সভাপতি সবারই সমান স্ট্যাটাস। তাই মন্ত্রী দোষ করলেও ছাড়া হয় না আবার অন্য কেউ দোষ করলেও ছাড় পান না। মন্ত্রী শোকজের জবাব দিয়েছেন। উনি ক্ষমা চেয়েছেন। উনি বলেছেন অসতর্ক মুহূর্তে এই কথা গুলো বলেছিলাম। ইমোশানালি বলেছিলম। ওঁর জবাব দলের কাছে পাঠিয়ে দেব।''