Union Minsiter on Rabindranath: রবীন্দ্রনাথের গায়ের রঙ কালো, তাই তাঁকে কোলে নিতেন না মা। বিশ্বভারতীতে বসে এমন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। ১৫ অগাস্ট লালকেল্লার ভাষণে মাতঙ্গিনী হাজরাকে অসমের মহীয়সী বলে বিতর্কে জড়ান প্রধানমন্ত্রী। তার দিন দুয়েকের মধ্যে তাঁর মন্ত্রিসভার এক প্রতিমন্ত্রীর, কবিগুরুর বর্ণ নিয়ে করা মন্তব্যে স্পষ্টতই বিতর্ক তুঙ্গে। এদিন বিশ্বভারতীর এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের সকলের গায়ের রঙ ধবধবে ফরসা ছিল। কবিগুরুর গায়ের রঙ সত্যিকারের ফর্সা ছিল। ফর্সা সাধারণত দুই প্রকার। একজন টকটকে হলদে, আর একজন ফর্সার মধ্যে লাল ভাব আছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গায়ের রঙ দ্বিতীয় ধরণের ছিল। তাঁর মা এবং বাড়ির অনেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কালো বলে তাঁকে কোলে নিতেন না। সেই রবীন্দ্রনাথ ভারতবর্ষের হয়ে বিশ্বজয় করেছেন।‘
গায়ের রঙ চাপা হওয়ায় ঠাকুর পরিবারে কিছুটা অপাংক্তেয় ছিলেন কবিগুরু। ঘুরিয়ে একথা বলতে গিয়ে বিতর্ক বাড়িয়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ। এমনটাই বীরভূম বিজেপি সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে বলতে গিয়ে বিশ্বভারতীর শিক্ষাদান পদ্ধতির প্রসঙ্গ টানেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজ্যেরও কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির গ্রহণ করা উচিত। এদিন বিশ্বভারতীতে বলেন ডক্টর সুভাষ সরকার।
তবে বুধবারের অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিশ্বভারতীর উপাচার্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক এবং বীরভূম বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা। এখানেই আপত্তি তুলেছে বীরভূম তৃণমূল। বিশ্ববিদ্যালয়কে বিজেপির আখড়া করতে চাইছেন উপাচার্য। এভাবেই সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন