নাবালিকার সঙ্গে সহবাসের পর পলাতক প্রেমিক সন্দীপ সরকার, এমনটাই অভিযোগ। এরপর নিরুপায় হয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে নাবালিকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। নাবালিকাকে বহুবার বোঝানো হয়। কিন্তু, তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় নাবালিকার গায়ে হাত তোলা হয় এবং তারপর তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির এক এলাকায়। ওই নাবালিকা জানিয়েছে, বিয়ের প্রতিশ্রতি দিয়ে তার সঙ্গে দীর্ঘ আটমাস ধরে সহবাস করেছে প্রেমিক। তাই এদিন বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে সে। এরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয় এবং তাকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, ওই নাবালিকা পুলিশের কথা মানতে না চাইলে উপস্থিত এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার থাপ্পড় মেরে তাকে টেনে হিঁচড়ে স্থানীয় থানায় নিয়ে যান বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত সারোগাসি বিল
এই ঘটনার খবর নাবালিকার পরিবার জানার পরই 'বিচার চাইতে' থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এদিকে, প্রেমিক ও তার পরিবারের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যে সমগ্র ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে তারা। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই এই নাবালিকার পরিবার প্রেমিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছিল এনজেপি অর্থাৎ নিউ জলপাইগুড়ি থানায়। পরিবারের অভিযোগ, তারপর পুলিশ কোনও রকম সহযোগিতা করেনি নাবালিকাকে। তাই কার্যত বাধ্য হয়েই বৃহস্পতিবার সকালে ধর্নায় বসে ওই নাবালিকা। উল্লেখ্য, নাবালিকার গায়ে হাত তোলা একেবারেই আইনসঙ্গত নয়।