মেলেনি কাটমানি, ক্ষোভে নির্মীয়মাণ সরকারি জলাধার গুঁড়িয়ে দিল দুষ্কৃতীরা

আতঙ্কে ঠিকাদাররা

আতঙ্কে ঠিকাদাররা

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
TANK

নির্মীয়মান জলাধার ভাঙচুরের এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

কাটমানি না মেলায় নির্মীয়মাণ একটি পানীয় জলাধার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে চাঁচোল থানার মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আশ্বিনপুর গ্রামে। সরকারি ওই পানীয় জলাধারটি ভাঙচুরের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই হইহই কাণ্ড। সরব চাঁচোলের ঠিকাদারদের সংগঠন। তাদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্লক প্রশাসনকে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। এমনকী দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন ঠিকাদারেরা। অভিযোগপত্রে তা উল্লেখ রয়েছে।

Advertisment

এদিকে পানীয় জলাধার ভাঙচুরের যে ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন দলবল নিয়ে হাম্বার ও শাবল দিয়ে নির্মীয়মাণ জলাধারটি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। তবে ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,আশ্বিনপুর গ্রামের জল সঙ্কট মেটাতে পানীয় জলের প্রকল্পের জলাধার নির্মাণ করার কাজ শুরু হয়। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তহবিল থেকে প্রায় দেড় লক্ষ বরাদ্দে কাজ শেষের মুখে ছিল। তার আগেই ওই এলাকার কয়েকজন সেটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল।

ঠিকাদারদের অভিযোগ, ওই এলাকার মসলিম, মেহবুল,মাসুদ,সাদেক,সাহেব ও নজরুলরা সদলবলে জলাধারটি ভাঙুচর করেছে। ভাঙচুরে বাধা দিলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্তও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিকে অভিযোগকারী ঠিকাদার জাহাঙ্গির আলির অভিযোগ, ওই জলাধার নির্মাণ করার সময় অভিযুক্তরা পাঁচ হাজার টাকা কাটমানির জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিল। কাটমানি না দিলে নির্মিত জলাধার ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল তাঁরা। দাবি মতো কাটমানি না দেওয়ায় তাঁরা এমন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। এনিয়ে ব্লক ও চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন জাহাঙ্গির।

আরও পড়ুন- বৃদ্ধার চোখের মণিতে জ্যান্ত কৃমি! সেবা কেন্দ্রে হইহইকাণ্ড

Advertisment

এদিকে নব নির্মিত পানীয় জলাধার ভাঙচুরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার চাঁচোলের ঠিকাদার অ্যাসোশিয়েশন একজোটে বিক্ষোভ দেখায় ব্লক দপ্তরে। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন ঠিকাদারেরা। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে প্রশাসনও। বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ঠিকাদারদের তরফে অভিযোগ জমা পড়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

government of west bengal Maldah crime