বুধবার ডিউটি করতে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরাননি। তারপর থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার। এর দিন তিনেকের মাথায় উদ্ধার হল জয়গাঁ থানার নিখোঁজ এএসআই রতন করের দেহ। রবিবার সকালে দলসিংপাড়া ১০ নম্বর এলাকার রাস্তার পাশে ঝোপ থেকে এএসআই-য়ের দেহ উদ্ধার হয়। মিলেছে মটরবাইটিও। এই পুলিশ আধিকারিককে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান উর্দিধারীদের।
Advertisment
রতন করের বাড়ি কোচবিহারে হলেও থাকতেন জয়গাঁ পুলিশ কোয়ার্টারে। পোস্টিং ছিল ভারত-ভুটান সীমান্ত অঞ্চলের জয়গাঁ থানার দলসিংপাড়া ট্রাফিকে। গত বুধবার কোয়ার্টার থেকে দলসিংপাড়া ট্রাফিকে ডুইটি করতে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর আর তাঁর কোনও খোঁজ ছিল না। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার পুলিশ আধিকারিকের পরিবারের তরফে জয়গাঁ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। শুরুহয় তদন্ত।
তল্লাশিতে এ দিন সকালে দলসিংপাড়া ১০ নম্বর এলাকার রাস্তার পাশে ঝোপ থেকে থেকে নিখোঁজ পুলিশ কর্মী রতন করেন দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ওই অঞ্চলে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এএসআই খুনের নেপথ্যে এই বালি মাফিয়াদের যোগ থাকতে পারে। অপরাধীদের সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।
কর পরিবারে শোকের ছায়া। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। বাড়িতে নিহত এএসআই রতন করের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। স্ত্রী শ্বেতা কর ও বড় দাদা অজিত কর এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছেন। কিভাবে ডিউটিরত অবস্থায় একজন অফিসার উধাও হয়ে গেলেন এবং তারপর তার মৃতদেহ উদ্ধার হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী যাতে এই ঘটনার সঠিক তদন্তের নির্দেশ দেন, সেই আবেদন করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন