চাকদহের নিখোঁজ এক মহিলার হদিশ মিলল বর্ধমানে। বর্ধমানের বাদামতলায় পুরনো একটি বাড়ি থেকে মহিলাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাস ছয়েক আগে চাকদহের বাড়ি থেকে আচমকাই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান ওই মহিলা। দুই ব্যক্তি তাঁকে অপহরণ করে এনে বর্ধমানের এই বাড়িতে রেখেছিল বলে দাবি করেছেন মহিলা। মাস ছয়েক পর সোমবার কোনওভাবে তিনি ফোনে যোগাযোগ করেন পরিবারের সঙ্গে। খবর পেয়ে মহিলার স্বামী পুলিশের দ্বারস্থ হন। শেষমেশ চাকদহ থানা ও বর্ধমান থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ওই মহিলাকে উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, বর্ধমানের যে বাড়ি থেকে মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে সেটি এক টলিউড অভিনেতার।
মঙ্গলবার ভোররাতে বর্ধমানের বাদামতলায় একটি পুরনো বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পম্পা ঘোষ নামে ওই মহিলাকে। ওই মহিলা অসুস্থ। এদিন পুলিশকে মহিলার স্বামী অর্ধেন্দু ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী বেশ কিছুদিন ধরে বাতের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। সেই কারণেই মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন মহিলা।
মাস ছয়েক আগে হঠাৎই একদিন বাড়িতে একটি চিঠি লিখে নিঁখোজ হয়ে যান পম্পা ঘোষ। পরে আর তাঁর খোঁজ মেলেনি। সোমবার অজানা একটি নম্বর থেকে অর্ধেন্দুবাবুর মোবাইলে একটি ফোন আসে। ফোনে তাঁর স্ত্রী তাঁকে জানান, দুই ব্যক্তি তাঁকে জোর করে ধরে এনে বর্ধমানে এক অভিনেতার বাড়িতে আটকে রেখেছেন। ওই বাড়িতে বেশ কয়েকজন সন্দেহজনক লোকজন থাকেন। মহিলার আশঙ্কা ছিল, তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন- ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন দিচ্ছে না কেন্দ্র, পরিকল্পিত বন্যা: মমতা
দীর্ঘদিন পর স্ত্রীর গলা শুনে আশ্বস্ত হন অর্ধেন্দু ঘোষ। তড়িঘড়ি স্ত্রীকে উদ্ধারে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। চাকদহ থানায় গিয়ে বিস্তারিতভাবে গোটা ঘটনা জানান তিনি। পরে চাকদহ এবং বর্ধমান থানার পুলিশ যৌথভাবে মহিলার সন্ধানে নামে। মঙ্গলবার ভোররাতে বর্ধমানের বাদামতলার ওই বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ওই বাড়ি থেকেই অসুস্থ অবস্থায উদ্ধার করা হয় মহিলাকে। তবে বাড়ি থেকে ওই মহিলা ছাড়া আর কারও খোঁজ মেলেনি। কীভাবে চাকদহ থেকে সূদূর বর্ধমানে চলে এলেন ওই মহিলা? তাঁকে কি অপহরণ করা হয়েছিল? নাকি নিজেই তিনি বর্ধমানে চলে এসেছিলেন? সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন