দেব প্রযোজিত প্রজাপতি চলচ্চিত্রে মিঠুন চক্রবর্তীর অভিনয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে ছিলেন কুণাল ঘোষ। যা নিয়ে হইচই পড়েছিল। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের চলচ্চিত্র জ্ঞান নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। এবার মুখে নাম না নিলেও কুণাল ঘোষকে রীতিমত 'তাচ্ছিল্য' করলেন স্বয়ং 'মহাগুরু'।
কী বলেছিলেন কুণাল ঘোষ?
নন্দনে 'প্রজাপতি' প্রদর্শনের অনুমতি পায়নি। ওই চলচ্চিত্রে বিজেপি নেতা মিঠুন অভিন করেছিলেন বলেই নন্দন কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্ত ছিল বলে জাবি করে বিজেপি। যা ঘিরে রাজনৈতিক তর্জা তুঙ্গে ওঠে। এরপরই মুখ খোলেন কুণাল ঘোষ। প্রজাপতিতে মিঠুন 'ফ্লপ' বলে দাবি করেছিলেন কুণাল ঘোষ। বলেছিলেন, 'দেব বেচারা মুখে বলতে পারছে না। ছবিতে মিঠুনদাকে নেওয়াটা ওর একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেব বেচারা একটা সুন্দর ছবি করতে গেল, মিঠুনদার ফ্লপ অভিনয়। ওখানে যদি পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতেন ফাটাফাটি হয়ে যেত। ওই জায়গাটা একটু অসুবিধা হচ্ছে।'
পাল্টা দেবের প্রতিক্রিয়া-
যদিও দলীয় রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের দাবি সমর্থন করেননি প্রজাপতি চলচ্চিত্রে প্রযোজক ও অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দেব। তিনি বলেছিলেন, 'আমার দল বা অন্য দলের অনেকেই নিজেদের মতো করে বক্তব্য রাখছেন। আমার বা মিঠুনদার পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন। এসবের মধ্যে পড়বেন না। আমার আর মিঠুনদার উপর এই বিষয়টা ছেড়ে দিন। যত বেশি এটা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করবেন, তত এটা নিয়ে মানুষ ভয় পেয়ে যাবেন। মানুষ ভালবেসে আসছে ছবিটা দেখতে। এরপর ভয় পেলে সেটা হবে না। সবমিলিয়ে বাংলা ছবির ক্ষতি হবে। কুণালবাবু বর্ষীয়ান একজন মানুষ। এটা ওঁর ব্যক্তিগত মত। আমার যদি মনে আবার ছবিতে মিঠুনদাকে নেব।'
এসবের মধ্যেই ডব্লিউবিএফজেএ -তে বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেলেন মিঠুন চক্রবর্তী। প্রজাপতিতে অভিনয়ের জন্যই তাঁর এই প্রাপ্তি।
মিঠুনের তাচ্ছিল্য
পুরস্কারপ্রাপ্তি দিয়েই কার্যত কুণালের সমালোচনার জবাব দিয়েছিলেন 'মহাগুরু'। তবে এ দিন মুখ খুলেছেন তিনি। মঙ্গলবার দলীয় কর্মসূচতে ত্রিপুরা গিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ত্রিপুরার উড়ান ধরার আগে মিঠুন বলেন, 'আমার টিআরপি নামাতে চেয়েছিলি। আর মরা অবধি পারবি না।' কুণাল ঘোষের সমালোচনা প্রসঙ্গ তাঁকে সাংবাদিকরা মনে করাতেই বিজেপি নেতা বলেন, 'আমি এলি তেলিদের জবাব দিই না। ওসব গঙ্গারামদের কথায় জবাব দিই না।'
মিঠুনের এদিনের মন্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কুণাল ঘোষ একাধিক খতিয়ান পেশ করে বলেছেন, '‘আজ যাঁকে উনি এলি তেলি গঙ্গারাম বলছেন তাঁর সঙ্গে কেমন যোগাযোগ ছিল তিনি তা নিজে ভাল করে জানেন।'
আরও পড়ুন- কোন ‘যাদুবলে’ নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি? শুভেন্দু বললেন ‘তালিকা আছে’!