শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার বিরোধীদের একজোট হওয়ার ডাক দিলেন বিজেপির 'শোস্টপার' মিঠুন চক্রবর্তী। তৃণমূলকে উৎখাতে মতাদর্শগত দূরত্ব সরিয়ে সকলের জোট বাঁধা উচিত বলে মনে করেন 'মহাগুরু'।
কী বলেছেন মিঠুন?
বাংলা সফরের চতুর্থ দিনে শনিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে যান মিঠুন। সেখানেই দলের বঙ্গ সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পাশে বলে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন এই জনপ্রিয় বিজেপি নেতা। কীভাবে হারানো যায় পোক্ত তৃণমূলকে? উত্তরে মিঠুন বলেন, ' অনুষ্ঠানিকভাবে এটা আমি বলতে পারছি না। তবুও একটা কথা বলছি। তৃণমূল যখন সরকারে এসেছে তখন সবাই একজোট হয়েছিল। সিপিএমকে হারানোর জন্য। কংগ্রেস, তৃণমূল… বিজেপি তখন খুব ছোট ছিল কিন্তু অস্বীকার করে লাভ নেই বিজেপি-ও পিছন থেকে সমর্থন করেছে। এই রকম একটা শক্তিকে হারাতে গেলে সবার একসঙ্গেই আসা উচিত। কিন্তু মতাদর্শগতভাবে হয়তো আমরা আলাদা হতে পারি, থাক সেই জায়গাটা। কিন্তু এই শক্তিকে হারানোর জন্য সবাইকে একজোট হতেই হবে।'
গত সেপ্টেম্বরে বামপন্থীদের প্রতি একই আহ্বান জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। বিজেপির নবান্ন অভিযানের প্রচারে শুভেনদু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, 'সিজিও গিয়ে লাভ নেই বামপন্থী বন্ধুরা। যেতে যদি সত্যিই চান তবে আমাদের সাথে ১৩ তারিখে নবান্ন চলুন। তার কারণ সবাই বলছে পার্থ কেষ্ট চুনোপুটি। সব খেয়েছে হাওয়াই চটি। উনি কোথায় বসে? চোরেদের রানিকে ১৪ তলা থেকে টেনে নামাতে গেলে নবান্নতেই যেতে হবে।'
জোটের আর্জি অবশ্য পত্রপাঠ খারিজ করেছিলেন বাম নেতারা। এ দিন মিঠুন চক্রবর্তীর জোটের আহ্বান প্রসঙ্গে সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ি বলেন, 'উনি বিরাট মানের অভিনেতা। তাই নেতা সেজে কথা না বলে অভিনয়ে মন দিন। বামপন্থীরা একটা সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে কোনও মতেই আপোশ করবে না।'
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের কথায়, 'উনি তো ফ্লপ। শুধু গরম গরম ভাষণ লোক টানতে বিজেপি ওকে ব্যবহার করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে মানুষ জোট বেঁধেছে। তাই বিরোদীদের জোট গড়েও কাজের কাজ হবে না।'