গত নভেম্বরে মিঠুন চক্রবর্তীর দাবি নিয়ে জোর শোরগোল পড়েছিল। বঙ্গ রাজনীতিতে উস্কে উঠেছিল দলবদলের সম্ভাবনা। 'মহাগুরু' প্রথমে দাবি করেছিলেন, ২১ জন তৃণমূল বিধায়ক সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। পরে জানান সেই সংখ্যা বেড়েছে। তৃণমূলের বহু বিধায়ক পদ্ম শিবিরের নেতাদের সঙ্গে তলেতলে কথা বলছেন। যোগাযোগ প্রসঙ্গে এবার বিজেপির 'কোবরা' সেই মিঠুনকে নিয়েই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
কী বলেছেন ফিরহাদ হাকিম?
পঞ্চায়েতের আগে বাংলায় প্রচারে মিঠুন চক্রবর্তীকে কাজে লাগাতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি। ইতিমধ্যেই জেলা জেলায় সভা শুরু করেছেন 'মহাগুরু'। বাংলায় মমতা সরকারের আমলে নানা দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে শাসক তৃণণূলকে উৎখাতের ডাক দিচ্ছেন তিনি। এই প্রেক্ষাপটে ফিরহাদ হাকিমের কাছে মিঠুনের প্রচারের তেজ ও ৩৮ জন তৃণমূল বিধায়কের বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগের প্রসঙ্গ ওঠে। জবাবে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী ফিরহাদ।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'সব ফাঁকা আওয়াজ। মিঠুনদা তো আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন যাতে দিদি রেগে না যায়। মিঠুনদা তো নিজেই তৃণমূলের সঙ্গে গন্ডগোল না করতে। তিনি কিছু কারণে বিজেপিতে গিয়েছেন। সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু, তিনি নিজেই বলছেন যাতে তৃণমূল না রেগে যায়।'
তৃণমূল বিধায়কদের যোগাযোগের কথা বলার সময়ই মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন যে, 'তৃণমূলে সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নন। অনেকে আছেন যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তৃণমূলে যাঁরা ভাল, তাঁরা শান্ত। যাঁরা শান্ত, তাঁদের দিকে নজর রাখুন। যাঁরা শান্ত, তাঁদের শরীরী ভাষা সব কিছু বলে দেবে।'
তৃণমূল দলকেই 'চোরেদের দল', 'দুর্নীতিগ্রস্ত' বলে প্রায়ই কটাক্ষ করে বিজেপি। সেই দলের রাজ্য শাখার কোর কমিটির সদস্য হয়ে গত নভেম্বরেই মিঠুন তৃণণূলের সকলকে 'চোর-দুর্নীতিগ্রস্ত' বলতে নারাজ ছিলেন। সেই প্রেক্ষাপটে মিঠুনকে নিয়ে এদিন ফিরহাদ হাকিমের দাবি ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে।
যদিও এসবকে পাত্তা দিতে চাননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রমাণের দাবি তুলেছেন তিনি। বলেছেন, 'সে কে? তাঁর কাছে কী প্রমাণ রয়েছে? এসব কথাবার্তা বলে প্রচারে থাকতে চাইছেন।'